এমএস ধোনি কোনও কিংবদন্তির চেয়ে কম নয়। তিনি এমন একজন খেলোয়াড় যিনি ব্যক্তিগত মাইলফলকগুলির চেয়ে সর্বদা দলের প্রতি বেশি যত্নবান ছিলেন। সুতরাং, একনজরে দেখে নেওয়া যাক যে ৫টি বিষয় প্রমাণ করে যে তিনি কখনই ব্যক্তিগত মাইলফলক নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না।
১) ৯০টি টেস্ট ম্যাচ:
প্রতিটা ক্রিকেটারের দেশের হয়ে ১০০টি টেস্ট খেলার স্বপ্ন থাকে, তবে মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে সেই বিকল্প থাকলেও তিনি তা করেননি। এই মাইলফলকে পৌঁছানোর আগেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন এবং সেটাকেই তিনি উপযুক্ত সময় ভেবেছিলেন।
২) লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা:
ধোনি প্রায় পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে ওয়ানডেতে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করেছেন। ওয়ানডেতে তাঁর সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোরটি এসেছিল যখন তিনি ৩ নম্বরে ব্যাট করতেন। তিনি যখন অধিনায়ক হন, তার কাছে টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ের বিকল্প ছিল তবে তিনি তা করেননি কারণ তিনি জানতেন যে অনেক নতুন খেলোয়াড়ই রয়েছেন যারা ইনিংসটি শেষ করতে ব্যর্থ হবেন। তাই ব্যক্তিগত মাইলফলকের চিন্তা না করেই লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতেন।
৩) ১৯৯টি ওডিআই ম্যাচে অধিনায়ক:
ধোনি যখন ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তখন তিনি ১৯৯টি ম্যাচ খেলেন। তিনি মাইলফলকে পৌঁছানোর বা অন্য সিরিজের জন্য চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ভাবেননি যাতে ২০১৯ বিশ্বকাপের আগেই বিরাট কোহলি প্রস্তুত হতে পারেন। পরে অবশ্য তিনি বিরাট ও রোহিতের অনুপস্থিতিতে ২০০টি ম্যাচে অধিনায়ক করার সুযোগ পান।
৪) উইকেট রক্ষক হিসেবে সর্বাধিক রান:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটরক্ষক হিসাবে ধোনির ১৭,২৬৬ রান রয়েছে এবং তালিকার শীর্ষে থাকা কুমার সাঙ্গাকারার রয়েছে ১৭,৮৪০ রান। আর কয়েকটি সিরিজ খেললেই হয়তো ধোনি এই রেকর্ডটি ভেঙে ফেলতে পারতেন। কিন্তু মাইলফলকের চিন্তা না করে তার আগেই অবসর নিয়ে নেন।
৫) ৯৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ:
এমএস ধোনি ভারতের হয়ে ৯৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সুতরাং তাঁর কাছেও ১০০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার বিকল্প ছিল। রোহিত ছাড়া আর কেউ দেশের হয়ে ১০০টি টি-টোয়েন্টি খেলেন নি। তবে এই বিষয়গুলি নিয়ে ধোনি একেবারেই চিন্তিত ছিলেন না।
তিনি সর্বদা নিজের দলকে আগে রেখেছিলেন এবং যারা দেশের হয়ে খেলতে প্রস্তুত আছেন তিনি তাদের জন্য পথ সুগম করে দিয়েছেন। এটি সত্যই প্রমাণ করে যে তিনি কখনই ব্যক্তিগত মাইলফলক সম্পর্কে চিন্তা করেননি এবং কেবল দলের প্রয়োজনে বিশেষ যত্নবান ছিলেন।