প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র শেহবাগের জন্ম হরিয়ানার এক জাট পরিবারে। শৈশব কাল থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল। যেই সময় শিশুরা অন্য খেলনা দিয়ে খেলত, সেই সময় থেকেই ব্যাট নিয়ে খেলা করতেন তিনি। একবার নিজের দাঁতই ভেঙে ফেলেছিলেন বীরু।
তারপর ক্রিকেটের প্রতি প্রেম ও যোগ্যতার জোরেই ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন নজফগরের নবাব। বরাবরই তিনি খুব দুষ্টু প্রকৃতির ছিলেন। তবে একবার এমন এক কাণ্ড ঘটান যার জন্য তার মা তাকে জুতো পেটা করেছিলেন।
শেহবাগরা ছিলেন চার ভাই বোন। আর তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার দুই বড় দিদির নাম মঞ্জু ও অঞ্জু। আর ছোট ভাইয়ের নাম বিনোদ। তাদের যৌথ পরিবার ছিল। একই পরিবারে থাকতো তার কাকারাও।
তারা বাড়িতেই সবাই মিলে ক্রিকেট খেলত। সেরকমই একদিন খেলতে গিয়ে নিজের দাঁত ভেঙ্গে ফেলেছিলেন যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১২। আর এরপর থেকেই তার খেলা বন্ধ করে দিয়েছিল বাবা।
বীরু জানিয়েছেন, তার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলা করার জন্য বা পড়াশোনা না করার জন্য তিনি বহুবার তার মায়ের কাছে মার খেয়েছেন। একবার তো তার মা তাকে জুতো পেটা করেছিলেন। তবে সেই মারটা খেলার কারণে ছিল না।
ছোটবেলায় তিনি একবার তার বাবার বিড়ির প্যাকেট চুরি করেছিলেন। আর তারপর তাদের বাড়ির সামনে হাসপাতালের একটি দেওয়ালে বসে বিড়ি খাচ্ছিলেন তার ভাইদের সাথে। আর সেই সময়ই তিনি ধরা পরে যান এবং তখনই তার মা তাকে জুতো ও লাঠি পেটা করেন।
বীরেন্দ্র শেহবাগ ছোটবেলায় দুরন্ত থাকলেও সে ক্রিকেট খুব মনোযোগ সহকারে খেলতেন। তিনিই ভারতের একমাত্র ব্যাটসম্যান যার টেস্ট ক্রিকেটে দুবার ট্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে।