ওয়ানডেতে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড করেছেন এই ৫ ভারতীয় ব্যাটসম্যান

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা আগের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হামেশাই দ্রুততম সেঞ্চুরি অথবা হাফ সেঞ্চুরি দেখা যায়। তবে ভারতীয় ক্রিকেটের কথা বললে এখনো পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচে যে পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি সবচেয়ে কম বলে এসেছিল এবার সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-

৫) যুবরাজ সিং: ২২ বলে

Yuvraj Singh fires another salvo, says India doesn't need No.4 batsman | The Woke Journal

২০০৪-০৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বিপক্ষে যুবরাজ সিং ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। আগের ম্যাচে ভারত হেরে যাওয়ায় পরের দিন তিনি মারমুখী হয়ে ওঠেন এবং শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৬৯ রান করেন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৮টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা।

৪) রাহুল দ্রাবিড়: ২২ বলে

Happy Birthday 'Jammy' Rahul Dravid- Unknown facts and records - The Truth One

২০০৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শচীন (১০২) এবং শেবাগের (১৩০) জোড়া সেঞ্চুরির পরে ৪৪ ওভারে ব্যাট করতে নামেন রাহুল দ্রাবিড়। এই সময়ে তিনি মাত্র ২২ বলে ঝড়ো ইনিংস খেলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা।

৩) বীরেন্দ্র শেহবাগ: ২২ বলে

Quarantine Edition, Part 2: Five biggest myths heard in cricket

২০০১ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে শচীন ও সৌরভের ২৫৮ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপের পর ব্যাট করতে নামেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পর শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৩৫০ রানে পৌঁছে দেন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৭টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কা।

২) কপিল দেব: ২২ বলে

Kapil Dev: The cricket legend who's turned to golf - CNN

১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কপিল দেব ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। যে সময়ে মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল, অ্যান্ডি রবার্টসের মতো বোলাদের মুখোমুখি হওয়া অত্যন্ত কঠিন ছিল, কিন্তু তাদেরই বেধড়ক ঠেঙ্গিয়ে ৩৮ বলে ৭২ রান করেছিলেন। কপিল দেবের এই ঝড়ো ইনিংসে সাজানো ছিল ৭টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা।

১) অজিত আগারকার: ২১ বলে 

5 fastest half-centuries for India in ODI cricket - 100MB

অজিত আগারকারের ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি এখনো কোন ভারতীয় ব্যাটসম্যানের পক্ষে ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতীয় দল ৪৩ ওভারে ২১৬ রানে ধুঁকছিল, সেখান থেকে তিনি ৩৯ বলে ৬৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৭টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা। এমনকি বল হাতেও ২৬ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে দলকে জেতান।