ধোনির আমলে অবসর নিয়েছেন এই ৩ বিখ্যাত ভারতীয় খেলোয়াড়, যারা বিদায়ী ম্যাচ পাননি

ভারতীয় ক্রিকেট দলে অনেক কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে ধোনির অধিনায়কত্বে খেলতে দেখা গেছে। ধোনির চেয়েও সেই সকল খেলোয়াড়রা অভিজ্ঞতায় বেশি ছিলেন এবং এর মধ্যে কিছু জন অধিনায়কত্বও করেছেন। তবে সময়ের সাথে সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রতিপত্তি ও অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকে। ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ধোনির বিশেষ ভূমিকা ছিল।

যুবরাজ সিং, গৌতম গম্ভীরের মত অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়কে ধোনির অধিনায়কত্বে দলের বাইরে থাকতে হয়েছে। অথচ চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা কিছু অনভিজ্ঞ ক্রিকেটার জাতীয় দলে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন। ধোনির অধিনায়কত্বে এমনও দেখা গেছে কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নীরবে অবসর নিয়েছেন এবং বিদায়ী ম্যাচটুকু পাননি। এই প্রতিবেদনের সেই ৩ জন কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের সম্পর্কে বলা হয়েছে:

□ শচীন টেন্ডুলকার:

‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ শচীন টেন্ডুলকারও তার ওডিআই ক্যারিয়ারে বিদায়ী ম্যাচ পাননি। শচীন তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে। এরপর তিনি হঠাৎ দলের বাইরে চলে যান। নির্বাচকদের সাথে শচীন টেন্ডুলকারের কি কথা হয়েছিল তাও প্রকাশ করা হয়নি। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে শচীন নিঃশব্দে অবসরের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। 

□ বীরেন্দ্র শেহবাগ:

শচীন টেন্ডুলকারের মতো বীরেন্দ্র শেহবাগের সাথেও তেমনই কিছু ঘটেছে। টেস্টে দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডেতে একটি ডাবল সেঞ্চুরি করা শেহবাগকে ভারতের কিংবদন্তি খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হয়। বীরেন্দ্র শেহবাগ ২০১৩ সালের পাকিস্তানের বিপক্ষে তার শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর কয়েক বছর অপেক্ষা করার পরও ফিরতে পারেননি। অবশেষে ২০১৫ সালে তিনি অবসর ঘোষণা করেন। 

□ জাহির খান:

জাহির খানের বোলিং পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসনীয় ছিল। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি তার শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর নির্বাচকেরা তাকে আর অন্তর্ভুক্ত করেনি এবং ২০১৫ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন। জাহির খান একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় কোনও সন্দেহ নেই। ধোনির অধিনায়কত্বে অবসর নেওয়া অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।