IND vs ENG: রোহিত রাহুল ওপেনিং জুটি ব্যর্থ, এই ১০ কারণে ভারত সেমিফাইনালে হেরেছে

সেমিফাইনালে ফের অঘটন! ২০১৬ এর পর আবারও ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হল রোহিত শর্মাদের। গত বছরের ব্যর্থতা কাটিয়ে এবারে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল ভারতীয় দল। তবে এদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ উইকেটে খুব বাজে ভাবে পরাজিত হয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে ভারত। জবাবে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলসকে কোনভাবেই আটকে রাখা যায়নি।

□ ভারতের পরাজয়ের ১০ কারণ:

১) প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যর্থ হচ্ছেন কেএল রাহুল। এদিনও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান তিনি। ক্রিস ওকসের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে একটি সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার।

২) টি-টোয়েন্টি পাওয়ার প্লে তে ভারতের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত ডিফেন্সিভ খেলা। প্রথম ৬ ওভারে ভারতীয় দলের স্কোর কার্ড দিয়ে দাঁড়ায় ৩৮। সেখানে ইংল্যান্ড বিনা উইকেটে ৬৩ রান তোলে। এতেই তারা এগিয়ে যায়।

৩) রোহিত শর্মার খারাপ ফর্ম অবধারিত। এই ম্যাচেও তার থেকে বড় রানের আশা করা হয়েছিল কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। রোহিত ২৮ বলে ২৭ রানের একটি মন্থর ইনিংস খেলে ভারতীয় দলকে আরও চাপে ফেলে দেন।

৪) প্রথম ১০ ওভারে ভারতীয় দলের স্কোর কার্ড গিয়ে দাঁড়ায় ৬২! সেমিফাইনালের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। যেখানে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ১০ ওভারে ১০০ রানেরও বেশি তোলে। ফলে এখান থেকেই তারা জয়ের রাস্তা আরো সহজ করে ফেলে।

৫) গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। এদিনও তার থেকে একটি ঝড়ো ইনিংস দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল গোটা দেশ। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। আদিল রাশিদের বলে ছক্কা হাকাতে গিয়ে আউট হন। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে মাত্র ১৪!

৬) ইংল্যান্ডের স্পিনারদের বিরূদ্ধে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেননি। আদিল রাশিদ ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান এবং লিয়াম লিভিংস্টন ৩ ওভারে ২১ রান দেন। এখানেই পিছিয়ে পড়ে ভারতীয় দল।

৭) ইংল্যান্ড পাওয়ার প্লেতে ভুবনেশ্বর কুমার, আরশদীপ সিং, মোহাম্মদ শামি ও অক্ষর প্যাটেলদের বেধড়ক পিটিয়ে ৬ ওভারের ৬৩ রান তুলে ফেলে। তারা একটিও উইকেট ফেলতে পারেননি। 

৮) ব্যাটিংয়ের মত বোলিংয়েও ব্যর্থ হয় ভারতীয় দল। ভুবনেশ্বর কুমার ২ ওভারে ২৫ রান, মোহাম্মদ শামি ৩ ওভারে ৩৯ রান, আশ্বিন ২ ওভারে ২৭ রান এবং হার্দিক পান্ডিয়া ৩ ওভারে ৩৪ রান দেন।

৯) ব্যাটিং বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও ভালো হয়নি ভারতীয় দলের। বিশেষ করে একটি রান বাঁচাতে গিয়ে মোহাম্মদ শামি যা করলেন তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। বল কুড়িয়ে নিজে না ছুড়ে, অন্য এক ফিল্ডারের দিকে ছোড়েন।

১০) যেকোনো বড় ম্যাচে টস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয় আর সেখানেই হেরে বসেন রোহিত শর্মা। এমনকি টস হেরে পরেও তিনি বলেছিলেন, জিতলে শুরুতে ব্যাটিংই করতেন।