শেষবার ভারতীয় দল ধোনির নেতৃত্বে ২০১৩ সালে আইসিসির চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় লাভ করে। এরপর অনেকগুলি টুর্নামেন্ট হয়, যেখানে ভারতীয় দল সেমিফাইনাল ও ফাইনালে যাওয়ার পরেও একবারও টুর্নামেন্ট জিততে সফল হয়নি। সম্প্রতি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপ টেস্ট ফাইনালেও পরাজিত হয়েছে বিরাট কোহলির দল।
তবে কোহলির নেতৃত্বে ভারতীয় দল আরও ভাল পারফরমেন্স করলেও একটিও আইসিসির শিরোপা জিততে পারেনি। আজকের প্রতিবেদনে রইল, সম্ভাব্য তিনটি কারণ:-
১) মিডল অর্ডার ব্যর্থতা:
২০১৪ সালে ভারতীয় দল যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছিল, সেইসময় যুবরাজ সিংয়ের ব্যর্থতার কারণে ভারতীয় দল বড়ো স্কোর করতে অসফল হয় ও ফাইনাল হেরেছিল। ২০১৫ বিশ্বকাপ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই রকমের মিডিল অর্ডার ব্যর্থতা ধরা পড়ে।
এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ও ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালেও একই ছবি ধরা পড়ে। এবার যদি ভারতীয় দলকে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে হয় তবে মিডল অর্ডারকে বিশাল ভূমিকা নিতে হবে এবং শক্তিশালী হতে হবে।
২) বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া:
২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সুরেশ রায়নার আগে যুবরাজকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে বড় বিপাকে পড়েছিল ভারতীয় দল। এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপে বোলিং নিয়েও বারবার ভুল সিদ্ধান্ত প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শেষ ওভারে বিরাট কোহলি হাতে বল তুলে দেওয়া, যেখানে দুর্দান্ত স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে তখনও দুই ওভার বল বাকি ছিল।
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে টসে জিতে বোলিং নেওয়াও সবচেয়ে বড় ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। এছাড়াও গত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ শামিকে ফাইনালে বাদ দেওয়া।
৩) দল ও খেলোয়াড়রা চাপের মধ্যে থাকে:
২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুবরাজের চাপের ইনিংসটি কারোরই ভোলার নয়। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময়ও মাঝের দিকে ভারতীয় দলকে অনেকটা চাপের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই হাল ছেড়ে দেয় ভারত।
এছাড়াও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বড় বড় শট নেবার সময়ও বাড়তি চাপ দেখা যায়। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিতেও চাপ এসেছিল যা ভারতীয় দলের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। রবীন্দ্র জাদেজা ছাড়া কাওকে খোলামেলাভাবে বড় শট খেলতে দেখা যায়নি। যা পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল।