চিকেন পক্স থেকে রক্ষা পেতে কোন কোন সাবধানতা অবলম্বন করবেন

সময়টা এখন শীতের শেষ আর বসন্তের শুরুর অর্থাৎ এই সময় চিকেন পক্সের সম্ভাবনা বেশি থাকে। চিকেন পক্স একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস রোগ। এটি ভ্যারিসেলা ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এ রোগ সাধারণত ২১ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। আর সারা শরীরে ছোট ছোট জলের মত লাল ফোসকার মতো দেখা যায় এটা কি সাধারণত চিকেন পক্স বলা হয়। একই সাথে রোগী জ্বর, মাথাব্যথা, এবং অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। গুটি দেখা মাত্র আপনি প্রচুর পরিমান জল পান করবেন। কারন চিকেন পক্স এ শরীরে জলশূন্যতা দেখা দেয়। মনে রাখবেন যে, নখ দ্বারা গুটি কে কোন ভাবেই চুলকানো যাবে না।

Image result for chicken pox

∆ খাবারের বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা:

১) চর্বিযুক্ত খাদ্য যেমন মাংস, এতে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যারিসেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্য মানব শরীরকে তৈরি করে তোলে। তাই এই সময় একেবারেই চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়া সবচেয়ে ভালো।

২) এই সময় শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং ইমিউনিটি বাড়াতে অন্তত তিন গ্লাস টাটকা ফলের রস খেতে হবে। চিকেন পক্সে আক্রান্ত পূর্ন বয়স্করা দারচিনি‚ মধু এবং অল্প লেবু মিশিয়ে দিনে তিনবার হার্বাল চা খান।

 

Image result for water drink

∆ চিকেন পক্স হলে করণীয়:

১) চিকেন পক্সের চুলকানি সারাতে নিমপাতা অব্যর্থ। দিনে একবার নিমপাতা বেটে আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। যতদিন না চিকেন পক্স পুরোপুরি সেরে যাচ্ছে ততদিন এটি করুন।

২) চিকেন পক্স হলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই দিনে অন্তত ১০ গ্লাস জল খেতে হবে। এতে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বেরিয়ে গিয়ে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

৩) এক বালতি গরম জলে পরিমাণমতো ওটমিল জলে গুলে স্নান করুন। এটা চুলকানির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। কারণ ওটমিলে বিটা গ্লুকোন ও অ্যাভেনানথ্রামাইড রয়েছে যা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি বেকিং সোডাও ব্যবহার করতে পারেন।

৪) চিকেন পক্সের জন্য আক্রান্ত স্থানে দিনে ৩-৪ বার মধু লাগাতে পারেন। এছাড়া ডাবের জলে দিনে দুবার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৫) চুলকানি কমানোর জন্য অলিভ অয়েল বা ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করুন। দেখবেন চুলকানি সাথে সাথে ব্যথার পরিমাণও কমে যাবে।

৬) এই ধরনের রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। খোলা স্থানে অথবা নির্জন স্থানগুলিতে যাওয়া উচিত নয়। যতটা সম্ভব বাড়ির মধ্যে থাকা উচিত।