মহেন্দ্র সিং ধোনি ও সুরেশ রায়নার হঠাৎ অবসর নেওয়াটা হয়তো কোন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমী মেনে নিতে পারেননি। ২০২০ সালের ১৫ ই আগস্ট সন্ধ্যার সময় অবসর ঘোষণা করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর সুরেশ রায়নাও একই পথেই হাঁটলেন। এক নিমিষেই ঝরে গেল ভারতীয় ক্রিকেটের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র।
২০১১ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের এই দুই সদস্য বর্তমানে আইপিএলে একই দল চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন। আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও সুরেশ রায়নার মধ্যে যে ৬টি কাকতালীয়ভাবে মিল; এবার সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
১) অভিষেক ওডিআই ম্যাচে ‘গোল্ডেন ডাক’:
মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই শূন্য রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে আসেন। অন্যদিকে সুরেশ রায়না পরের বছর ২০০৫ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক করেন এবং তিনিও প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ আউট হন।
২) ইংল্যান্ডের মাঠে শেষ ওডিআই ম্যাচ:
মহেন্দ্র সিং ধোনি তার শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, যা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অনুরূপভাবে, ২০১৮ সালে সুরেশ রায়নাও স্বাগতিক দেশ ইংল্যান্ডে তার শেষ ওডিআই ম্যাচটি খেলেছিলেন।
৩) শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টেস্ট:
২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুরেশ রায়না টেস্ট অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এমএস ধোনিও টেস্টে অভিষেক করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এমনকি উভয় খেলোয়াড়ই শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
৪) অধিনায়ক হিসেবে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে:
সুরেশ রায়নার ধোনির অনুপস্থিতিতে ২০১১ সালে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হন এবং শেষ ম্যাচটি অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন। কাকতালীয়ভাবে মহেন্দ্র সিং ধোনিও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচটি খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই।
৫) আরসিবির বিপক্ষে তিন বার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ:
আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সুপার কিংস চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আসছে। তবে আরসিবির বিপক্ষে সিএসকের অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক দুজনেই তিনবার করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন।
৬) একইদিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়:
সুরেশ রায়না ও এমএস ধোনির মধ্যে সর্বশেষ এবং সবচেয়ে হৃদয় বিদারক যে কাকতালীয় ঘটনাটি হল, উভয়ই খেলোয়াড়ই ২০২০ সালের ১৫ই আগস্ট একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন।