সম্প্রতি চীনের দ্য পেপার ডট সি এ নামে এক সংবাদ পত্রিকায় ভারতের সেনাবাহিনীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই পত্রিকায় বলা হয়েছে যে, পুরো বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বিনাশকারী সেনাবাহিনী হলো ভারতের সেনা। চীনের এই পত্রিকাটিকে সৈন্য ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে। এই পত্রিকায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমানে পর্বত সংকুল ও মালভূমি যুদ্ধের ক্ষেত্রে সব থেকে সেরা ভারতই। রাশিয়া, আমেরিকা বা ইউরোপের কাছেও এত বড় অভিজ্ঞ পর্বতীয় সেনা নেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস’ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মডার্ন উইফনারি-এর সম্পাদক হুয়ান গুওই লিখেছেন,” ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে পাহাড়ি সেনাদের সবাইকে পাহাড়ে চড়া অবশ্যই জানতে হবে; আর এই কারণে ভারত প্রচুর পরিমাণে পর্বতারোহীদের সেনাতে ভর্তি করেছে।” উনি আরো লিখেছেন যে, বিশ্বের মধ্যে ভারতের পর্বতীয় সেনাবাহিনী সবথেকে বড় পাহাড়ি যুদ্ধ বাহিনী।
তিনি আরও বলেছেন যে, ১৯৭০ এর দশকে ভারত প্রচুর পরিমাণে পর্বতীয় সেনাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। ৫০ হাজার সেনাবাহিনীকে নিয়ে একটি মাউন্ট স্ট্রাইক ফোর্স বানানোর চিন্তাভাবনা করছে ভারত। সিয়াচেন গ্লেসিয়ারের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন যে, সিয়াচেন এর ক্ষেত্রে ৫ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় অনেক ছাউনি করে নিয়েছে ভারতীয় সেনা এবং সেখানে অন্ততপক্ষে ৬ থেকে ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করা আছে।
ভারত আমেরিকা থেকে প্রচুর পরিমাণে অত্যাধুনিক হাতিয়ার কিনেছে। যার মধ্যে আছে বিশ্বের সব থেকে হালকা কামান এবং চিনুকের মতো হেলিকপ্টার। এই হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভারতীয় সেনা পাহাড়ি অঞ্চলে অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় অনেক হাতিয়ার খুব সহজেই নিয়ে আসা যাওয়া করতে পারে।
লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চীনের মধ্যে যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল তারপরে এই খবরটি সামনে এসেছে। এই বিবাদ শুরু হয়েছিল গত মাসে আর দুই দেশই কূটনৈতিক এবং সামরিক দুই দিক থেকেই আলোচনার মাধ্যমে এখন বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছে। চীনের সংবাদ পত্রিকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীদের নিয়ে এইরকম প্রশংসা খুবই কম দেখা যায়।