গাছ কত যে উপকার করে তা কারোরই অজানা নয়। অক্সিজেন দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে কিন্তু এদিকে নির্বিচারে গাছ কেটে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে পরিবেশকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে কিছু মানুষ। তবে সেইসব শীঘ্রই বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে বড় বিপদের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের।
এদিকে বদ্ধ ঘরে বাতাসের মধ্যে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে অজান্তেই আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। তবে কয়েকটি বিশেষ গাছ রয়েছে যা ‘এয়ার পিউরিফাই’ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ বাতাসে মিশে থাকা সকল দূষিত গ্যাসকে শোষণ করে নেয়। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল গাছগুলি সম্পর্কে –
১) অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী:
অ্যালোভেরা ঘরের মধ্যে লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। ঘরের মধ্যে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড এবং টক্সিন এর মতো ক্ষতিকর দূষিত পদার্থকে শোষণ করে নেয়। এছাড়া এটি বাতাসকে পরিষ্কার রাখে এবং প্রাকৃতিক এয়ার পিউরিফাই হিসেবে কাজ করে।
২) ফিকাস:
এই গাছটি বাতাসকে সতেজ রাখতে এবং দূষিত পদার্থকে শোষণ করতে বিশেষভাবে সক্ষম। তবে এই গাছের জন্য খুব একটা আলো বা জলের প্রয়োজন হয় না। এই গাছটি বাতাসের মধ্যে থাকা সমস্ত টক্সিনকে শোষণ করে নেয়। তবে বাড়ির মধ্যে থাকা পোষ্য প্রাণীকে এই গাছটির পাতা থেকে দূরে রাখতে হবে, না হলে বিষক্রিয়া হতে পারে।
৩) আইভি:
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে প্রতিটি ঘরেই আইভি গাছটি রাখা উচিত কারণ ঘরের পরিবেশকে সতেজ রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। খুব কম সময়ের মধ্যেই ঘরের মধ্যে থাকা দূষিত টক্সিন পদার্থ ও দুর্গন্ধকে শোষণ করে নেয়।
৪) স্পাইডার প্ল্যান্ট:
এই গাছটি অতিরিক্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে কারণ এদের খুব কম আলোর মধ্যেই সালোকসংশ্লেষ ঘটে। ঘরের মধ্যে থাকা টক্সিন, স্টাইরিন, গ্যাসোলিন নামক দূষিত পদার্থ গুলিকে শোষণ করে নেয়। এছাড়াও এটি বাড়ির অনেকটা অংশ জুড়ে বাতাসকে তরতাজা ও পরিশুদ্ধ করে তোলার ক্ষমতা রাখে।
৫) স্নেক প্ল্যান্ট:
শোবার ঘরে স্নেক প্ল্যান্ট আদর্শ একটি গাছ। এই গাছটি রাতেও অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এই গাছটি সহজেই মরে যায় না তবে এর জন্য বিশেষ আলো এবং জলের প্রয়োজন হয়। এটি বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে তুলতে এবং টক্সিন শুষে নিতে সক্ষম।
৬) পিস লিলি:
এই গাছটি বাতাসের মধ্যে থাকা সকল দূষিত পদার্থকে মুহূর্তেই শোষণ করে নিতে পারে। এর ফলে ঘরের পরিবেশে খুবই দ্রুত অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে তোলে।