আইসিসি আয়োজিত কোন টুর্নামেন্টের ফাইনাল মঞ্চে দলকে নিয়ে যেতে অধিনায়কের যথেষ্ট ভূমিকা থাকে। সঠিকভাবে দলকে পরিচালনার মাধ্যমে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হন তারা। তবে এমন ৩ হতভাগ্য অধিনায়ক রয়েছেন যারা দলকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জিততে শিরোপা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড ফাইনালে উঠে, কিন্তু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরাজিত হয়। শুধু তাই নয়, বর্তমান কিউই অধিনায়ক এর আগেও তার দলকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন, সেবারও পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়। আজকের প্রতিবেদনে এমন ৩ অধিনায়ক এর কথা বলা হয়েছে, যারা ৫০ ওভার ও ২০ ওভার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও দলকে শিরোপা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
১) কেন উইলিয়ামসন:
কিউই দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করার পর কেন উইলিয়ামসন সর্বোচ্চ পর্যায়ে বারবার পৌঁছেও ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও তার মুকুটে ২০২১ চ্যাম্পিয়নশিপ টেস্ট জয়ের খেতাব রয়েছে। এদিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে কেন উইলিয়ামসন ৮৫ রানের একটি দুরন্ত ইনিংস খেলেও শেষ পর্যন্ত দলকে জয় দিতে ব্যর্থ হন। এর আগে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি সুপার ওভারে ড্র হলেও আইসিসির হাস্যকর (বাউন্ডারির নিরিখে) নিয়মে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়।
২) কুমার সাঙ্গাকারা:
শ্রীলঙ্কা দলের কিংবদন্তি তারকা কুমার সাঙ্গাকারা একজন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান হওয়ার পাশাপাশি তার নেতৃত্বে দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল দল। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজিত হয়। এর ঠিক দুবছর পর সাঙ্গাকারার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা দল ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু সেবারও জয়ের পরিস্থিতি তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলে সমস্ত আশায় জল ঢেলে দেন।
৩) মাহেলা জয়াবর্ধনে:
এই তালিকায় রয়েছেন শ্রীলঙ্কার আরও এক কিংবদন্তি খেলোয়াড় মাহেলা জয়াবর্ধনে। ২০০৭ বিশ্বকাপের তারই নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা দল ফাইনালে উঠে। কিন্তু অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এর দুর্দান্ত ১৪৯ রানের ইনিংসে শ্রীলঙ্কা বিধ্বস্ত হয় ও অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব গ্রহণ করে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমদিকে চাপের মুখে রাখলেও মারলন স্যামুয়েলসের ৭৮ রানের ইনিংসটি পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। জবাবে শ্রীলঙ্কা ১৩৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায়। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন অধিনায়ক জয়াবর্ধনে নিজেই।