লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীন সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ যে হয়েছিল, তার জেরেই গোটা দেশ চীনের প্রতি ক্ষোভে ফেটে পড়ে। চীন বুঝে গেছে তাদের পক্ষে ভারতে আর ব্যবসা করা সহজ হবে না। এখন চীনা পণ্য বয়কট করা নিয়ে সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে। এদিকে সরকারও দেশী পণ্য তৈরির দিকে নজর দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে।
সম্প্রতি তথ্য অনুসারে, ভারত গত এক বছরে অর্থাৎ ২০১৯ সালে চীন থেকে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার বৈদ্যুতিন পণ্য কিনেছিল। এই প্রসঙ্গে, ভারত সরকার শীঘ্রই কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চীন প্রতিবছর দুই লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লোকসান করবে।
চীনের সাথে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে যুক্ত সংস্থাগুলিও নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। কারণ এই সংস্থাগুলি জাতীয় সুরক্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এরফলে শাওমি, ভিভো এবং ওপ্পোর মতো স্মার্টফোন সংস্থাগুলিও চরম সংকটের মুখোমুখি হবে।
চীনের কারণে মাইক্রোম্যাক্স, লাভা, ইনটেক্স এবং কার্বনের মতো বড় বড় ভারতীয় সংস্থার অনেক ক্ষতি হয়েছে। শুধু এটিই নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসুং এবং জাপানের এলজি ছাড়াও সোনিও ভোগান্তিতে পড়েছে। ভারত হলো চীনের জন্য একটি বড় বাজার। সুতরাং, ভারত সরকার চীনা সংস্থাগুলিকে হটিয়ে শীঘ্রই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
জানিয়ে রাখি, ২০১৮ সালে ভারতীয় সংস্থাগুলির স্মার্টফোন বাজারে প্রায় ৯% ছিল। এরপর ২০১৯ সালে, এটি ১.৬% নেমে আসে এবং চলতি বছরের প্রথমদিকে ভারতীয় স্মার্টফোন ১% নেমে এসেছে।
স্মার্ট টিভির ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা। ২০১৮ সালে ভারতীয় স্মার্ট টিভি বাজারের শেয়ারের প্রায় ৬% ছিল। পরের বছর ২০১৮ সালে এটি ৯% উন্নীত হয় এবং এখন এটি ২০২০ সালের প্রথম দিকে কিছুটা হ্রাস পেয়ে ৮.৫% কাছাকাছি পৌঁছেছে।