ভারতবর্ষের সবচেয়ে ভুতুড়ে স্থান, সন্ধ্যা হলেই সেখানে যাওয়ার কোন অনুমতি নেই

আপনি কি ভূতে বিশ্বাস করেন? সে যাই হোক, ভুতের গল্প শুনতে কার না ভালো লাগে। ভারতের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে এমন কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেগুলি ভুতুড়ে স্থান হিসেবে বহুকাল ধরেই লোক মুখে প্রচার হয়ে আসছে। এবার সেই জায়গা গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:- 

ডি’সুজা চল, মুম্বই, মহারাষ্ট্র: এই এলাকার এক মহিলা পাতকুয়োর মধ্যে পড়ে মারা গিয়েছিলেন। সেখানকার স্থানীয়দের দাবি তার আত্মা এখনও রাত্রে ঘুরে বেড়ায়।

অগ্রসেন কি বাওলি, দিল্লি: পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান। এখানে পা রাখলেই নাকি একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। অনেকে দাবি করেন কেউ যেন তাদের অনুসরণ করছেন।

Agrasen Ki Baoli Photograph by Sandeep Pandey

লম্বি দেহার খনি, উত্তরাখণ্ড: একসময় প্রচুর শ্রমিক কাজ করতেন এখানে। একটি দুর্ঘটনায় তাদের অনেকেই মারা যান। স্থানীয়রা আজও তাদের নাকি কণ্ঠস্বর শুনতে পান।

জাতিঙ্গা, অসম: বছরের মাঝামাঝি সময় আকাশ থেকে হঠাৎ পাখিগুলি মৃত অবস্থায় ঝরে পড়ে। এর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। সেখানকার স্থানীয়দের বিশ্বাস এর পিছনে কোন ভুতুড়ে প্রভাব রয়েছে।

দুমা সৈকত, গুজরাত: একসময় এই সমুদ্র সৈকতটি শ্মশান হিসেবে ব্যবহার হতো। অনেকে বিশ্বাস করেন সেই সকল মৃতদের আত্মা এখনো ঘুরে বেড়ায়। তাই এই জায়গাটি সন্ধ্যার পর সরকারি কর্তৃক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

7 Haunted Places In Gujarat To Scare You Out Of Your Wits In 2021

ডাউহিল, কার্শিয়াং, পশ্চিমবঙ্গ: এই রাজ্যের সবচেয়ে ভুতুড়ে স্থান হিসেবে এটিই পরিচিত। এখানকার দুটি স্কুল এবং তার আশেপাশে প্রচুর অভিশপ্ত আত্মা রয়েছে বলে সেখানকার স্থানীয়রা দাবি করেন। 

বম্বে হাই কোর্ট, মুম্বই, মহারাষ্ট্র: এই আদালতে প্রচুর মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের মতে দণ্ডপ্রাপ্ত অনেক আত্মা আজও এই আদালত চত্বরে রয়ে গেছে।

কুলধারা গ্রাম, রাজস্থান: প্রায় দুশো বছরের আগে এই গ্রামে জনবসতি ছিল কিন্তু তারপর থেকে জনশূন্য হয়ে পড়েছে। সেই থেকেই এই গ্রামটি নাকি অভিশপ্ত বলে জানা যায়।

Kuldhara, Kuldhara - Times of India Travel

রামোজি ফিল্ম সিটি, তেলেঙ্গানা: কথিত আছে, এখানে সুলতানি আমলের সেনাদের দেহাবশেষ চাপা পড়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যেই নাকি আলো নিভে যায় কোন কারন ছাড়াই। অনেকের মতে, এর পিছনে কোন ভুতুড়ে প্রভাব রয়েছে।

ভাংড়া কেল্লা, রাজস্থান: এখানে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যাওয়ার অনুমতি দেয় না। কেউ যদি ভুলেও রাতে এখানে প্রবেশ করে সে নাকি আর ফিরে আসে না। জানা যায়, এই কেল্লার রাজকন্যার প্রেমে পড়েছিলেন এক সাধু। তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হয়। আজও নাকি তার আত্মাএখানে ঘুরে বেড়ায়।