রতন টাটার জীবনে একবারই প্রেম এসেছিল; তবে কেন অবিবাহিত থাকলেন এই বিখ্যাত শিল্পপতি

আদর্শ সুপুরুষের পাশাপাশি একজন সফল শিল্পপতি রতন টাটা। এখন তার বয়স ৮৪! তিনি চাইলে যৌবনে যেকোনও অভিনেতাকে টেক্কা দিতে পারতেন। তবুও কেন অবিবাহিত রয়ে গেলেন? এক সাক্ষাৎকারে রতন টাটা জানিয়েছেন, জীবনে একবারই প্রেমে পড়েছিলেন এবং বিয়ের আয়োজনও প্রায় হয়ে গিয়েছিল। 

রতন নাভাল টাটার জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর, গুজরাটের সুরাট শহরে। শৈশবেই তার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর তিনি বেড়ে ওঠেন ঠাকুমার কাছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গ্রীষ্মের ছুটিতে তার ঠাকুরমার সাথে লন্ডনে গিয়েছিলেন।

আর সেখানেই তৈরি হয়েছিলেন ভারতবর্ষের সবচেয়ে সফল ব্যবসায়ী। তার ঠাকুরমা শিখিয়েছিলেন, “সবকিছুর ঊর্ধ্বে মর্যাদাবোধ।” যা এখনও হৃদয়ে গেঁথে রেখেছেন।

এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিটেকচারে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দুই বছর লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে কাজও করেছিলেন। আর সেখানেই এসেছিল তার জীবনে প্রথম প্রেম।   

রতন টাটা জানিয়েছেন, সেই সময়গুলি খুবই সুন্দর ছিল। মার্কিন শহরের সুন্দর আবহাওয়া, সেইসাথে ভালো চাকরি এবং নিজস্ব একটি গাড়িও ছিল। মার্কিন কন্যার সাথে বিয়ের আয়োজনও হয়ে গিয়েছিল প্রায়। কিন্তু ঠাকুমার প্রচন্ড শরীর খারাপ হলে তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়।  

তাদের সম্পর্কে নিয়ে ওই কন্যার পরিবারের কোনো দ্বিমত ছিল না। রতন টাটার প্রেমিকা জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতে চলে আসার কিছুদিন পরেই তিনিও চলে আসবেন। আর এই দেশেই পাতবেন তাদের সংসার। 

কিন্তু এরই মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের কারণেই ওই মেয়েটির বাবা-মা তাকে ভারতে আসতে দেয়নি। আর এভাবেই শেষ হয়ে যায় একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প। চিরকাল অবিবাহিতই থেকে গেলেন রতন টাটা।  

এরপর জীবনে প্রচুর যশ, সাফল্য অর্জন করেছেন। ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হন রতন টাটা। ‘পদ্মভূষণ’ ‘পদ্মবিভূষণ’ এর মত বিরল সম্মানও পেয়েছেন। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে জীবনে অনেক সাফল্য অর্জন করলেও, প্রেম বা বিয়ে — আর কোনটাই হয়ে ওঠেনি তার।