গত বছরে করোনা মহামারীকে উপেক্ষা করেই শুরু হয়েছিল বিশ্বের সেরা জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএল। বিভিন্ন দেশের তাবড় তাবড় ক্রিকেটাররা এই লিগে অংশগ্রহণ করেন। বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে আইপিএলে, কোনটা গর্বের আবার কোনটা লজ্জাজনক।
আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, আইপিএল এর সর্বনিম্ন পাঁচটি স্কোর। চলুন দেখে নেওয়া যাক –
১) রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ৪৯ রান
২০১৭ সালে কেকেআর প্রথমে ব্যাট করে ১৩২ রানের টার্গেট রাখে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সামনে। এরপর তারা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামলে আরসিবির ব্যাটিং দুর্গ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। মাত্র ৯.৪ ওভারে ৪৯ রানে গুটিয়ে যায় বিরাট কোহলির দল। কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেনি, সর্বোচ্চ রান করেন কেদার যাদব (৯)। এটি আইপিএলের এখনো পর্যন্ত সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।
২) রাজস্থান রয়্যালস: ৫৮ রান
আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি রয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের, যারা আইপিএলের প্রথম মরসুমে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০০৯ সালে আরসিবি তাদের সামনে ১৩৪ রানের টার্গেট রাখে এরপর তারা ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৮ রানেই গুটিয়ে যায়। বিখ্যাত ভারতীয় স্পিনার অনিল কুম্বলে ৩.১ ওভারে ৫ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন।
৩) দিল্লি ডেয়ারডেভিলস: ৬৬ রান
২০১৭ সালে ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে দিল্লির সামনে ২১৩ রানের টার্গেট রাখে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এরপর তারা ব্যাট করতে নেমে চরম বিপাকে পড়ে এবং মুম্বাইয়ের বোলিংয়ের সামনে কেউ বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে যায় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এই জয়ের সুবাদে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছিল এবং সেবার তারা চ্যাম্পিয়ন হয়।
৪) দিল্লি ডেয়ারডেভিলস: ৬৭ রান
এই তালিকায় আরও একবার রয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ২০১৭ সালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। জবাবে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বিনা উইকেটে ৭.৫ ওভারে জয়ী হয়।
৫) কলকাতা নাইট রাইডার্স: ৬৭ রান
২০০৮ সালে সৌরভ গাঙ্গুলী ও শচীন টেন্ডুলকারের দল মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নাইট বাহিনী বিপাকে পড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর বোলিংয়ের সামনে। মাত্র ১৫.২ ওভারে ৬৭ রানে গুটিয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ওপেনার সনথ জয়সুরিয়া ১৭ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এবং ৫.৩ ওভারে চেস করে।