ভারতীয় দলে যখন রাহুল দ্রাবিড় এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়ক ছিলেন তখন নিয়মিত একাদশে সুযোগ পেতেন সুরেশ রায়না। কিন্তু ২০১৭ সালে বিরাট কোহলি ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক এর দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন সুরেশ রায়না। জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে সরে রয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে এই ভারতীয় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সুরেশ রাইনা জানিয়েছেন যে, রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে খেলতে পেরে তিনি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান বলে মনে করেন এরপর তিনি অনেকবার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তার জীবন বদলে যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ধারাবাহিকভাবে ক্রিকেট খেলায় সুযোগ পেয়ে।
এই ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দলের প্রয়োজনে কখনো কখনো বল ঘুরিয়ে উইকেট নিতেন আর সেই সাথে দুর্দান্ত ফিল্ডার। একবার জন্টি রোডস বলেছিলেন, ভারতের সেরা ফিল্ডিং সুরেশ রায়না। ভারতের হয়ে প্রায় ৮ হাজারের কাছাকাছি রান করেন সুরেশ রায়না। আর বল হাতে জাতীয় দলের হয়ে মোট ৬২টি উইকেট শিকার করেন।
সুরেশ রায়না ভারতের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন গত দেড় বছর আগে ২০১৮ সালে জুলাই মাসে। এরপর থেকে তার জাতীয় দলে ফেরা সম্ভবত বন্ধ হয়ে গেছে তবে তিনি প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় দলে ফিরে আসার। এমনকি আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আগামীর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার জন্য স্বপ্ন দেখছেন।
সুরেশ রায়না জানিয়েছেন যে, বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা শুরুতে আউট হলে মিডল অর্ডারে অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি হতো। সেই সময় আমি যে পজিশনে খেলতাম তা প্রতিটি ম্যাচেই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিজের উপর বিশ্বাস ছিল কিন্তু পারফর্ম করার পেছনে অধিনায়ক এর যথেষ্ট ভূমিকা থাকে।
তিনি আরো জানান, ভারতীয় ক্রিকেট দলের মিডল অর্ডারে যে নাটকীয়তা সৃষ্টি হয়েছে সেটা কেবল টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ক এই সমাধান করতে হবে। উল্লেখ্য, বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে সুরেশ রায়না মাত্র তিনটি ওডিআই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। সেই তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে খেলার সুযোগ পান। একটি ৪৬ রান করেন এবং আরেকটিতে ১ রান করে আউট হন তিনি।