ক্রিকেট মানেই দলগত খেলা এখানে একজন ব্যাটসম্যানের ওপর নির্ভর করে কখনোই ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। ক্রিকেট ইতিহাসে বহুবার এমন হয়েছে যে একজন ব্যাটসম্যান লম্বা ইনিংস খেলেও তার দলকে হারতে হয়েছে। আজকের প্রতিবেদনের রয়েছে এমন পাঁচটি বড় রানের ইনিংস, যারা দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পরেও তার দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন।
৫) ডেভিড ওয়ার্নার (১৭৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা)
২০১৬ সালের একটি ওডিআই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৩২৭ রান তোলে। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নামলে ডেভিড ওয়ার্নার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন এবং তার দল ২৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ডেভিড ওয়ার্নার ১৩৬ বলে ১৭৩ রানের ইনিংস খেলেও তার দলকে জেতাতে ব্যর্থ হয়েছিল।
৪) সচিন টেন্ডুলকার (১৭৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া)
২০০৯ সালে একটি ওডিআই ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৫০ রান তোলে। জবাবে ভারত ব্যাট করতে নেমে প্রত্যাশামতোই দ্রুত গতিতে রান করতে থাকলেও তা শেষ রক্ষা হয়নি।
এই ম্যাচে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন টেন্ডুলকার ১৭৫ রানের একটি বিখ্যাত ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ছিল ১৯টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কা। সচিনের টিকে থাকা পর্যন্ত জয়ের কিছুটা আশা থাকলেও তিনি আউট হওয়ার পর নিরাশ হতে হয় ভারতীয় সমর্থকদের।
৩) এভিন লুইস (১৭৬* বনাম ইংল্যান্ড)
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে বিস্ফোরক ব্যাটিং দেখিয়েছিলেন এভিন লুইস। তিনি মাত্র ১২৯ বলে অপরাজিত ১৭৬* রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন। ইনিংসের ৪৭ তম ওভারে ইনজুরির কারণে তিনি মাঠ ছাড়েন।
এরপর ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে ১৮১ রানের মাথায় ৫টি উইকেট হারায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ লুইসের নিয়মে ওয়েস্টইন্ডিজ হেরে যায়।
২) ম্যাথু হেডেন (১৮১ বনাম নিউজিল্যান্ড)
২০০৭ সালে ম্যাথু হেডেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮১ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে ছিল ১০টি ছক্কা এবং ১১টি চার। অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৩৪৬ রানের পাহাড় খাড়া করে। তবুও হতাশ হতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।
জবাবে নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নামলে, একসময় তাদের ৪১ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ক্রেগ ম্যাকমিলানের সেঞ্চুরি এবং ব্রেন্ডন ম্যাককালামের চার ছক্কায় রোমাঞ্চকর জয়লাভ করে নিউজিল্যান্ড।
১) চার্লস কনভেনটরি ( ১৯৪* বনাম বাংলাদেশ)
২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান ১৯৪* রানের একটি স্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন। এই ইনিংসে সাজানো ছিল ১৬টি চার এবং ৭টি ছক্কা। সৌজন্যে জিম্বাবুয়ে ৫০ ওভারে ৩১২ রান তোলে। তবুও হতাশ হতে হয় তাদের।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলে, ওপেনার তামিম ইকবালের ১৫৪ রানের ইনিংসটি জিম্বাবুয়ের কাছ থেকে ম্যাচটি ছিনিয়ে নেয়।