আইপিএলের প্রথম মরসুমে অন্যান্য বিদেশি ক্রিকেটারদের মত পাকিস্তানিদেরও খেলার সুযোগ হয়েছিল। শাহিদ আফ্রিদি থেকে শুরু করে শোয়েব মালিক, শোয়েব আখতার, উমর গুল, কামরান আকমল, ইউনুস খানের মত অনেক তারকা ২০০৮ আইপিল এর বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু ওই বছরই মুম্বাইয়ের হামলার পর রাজনৈতিক কারণে সমস্ত পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের চিরতরে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
আজকের আলোচ্য বিষয় অনুযায়ী, নিষিদ্ধ হবার পরেও এমন কয়েকজন পাক বংশভূত ক্রিকেটার রয়েছেন যারা আইপিএল খেলেছেন; এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:-
১) ইমরান তাহির:
৪১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার পাকিস্তানের লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেলে তার ভাগ্য খুলে যায়। এরপর কাউন্টি ক্রিকেট খেলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা চলে আসেন এবং সেদেশের নাগরিত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন।
২) ওয়াইস শাহ:
করাচিতে জন্ম নেওয়া ওয়াইস শাহ, কাউন্টি ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে ক্রিকেট জগতে পা রেখেছিলেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের নাগরিত্ব গ্রহণ করেন। তবে তার ক্যারিয়ারে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি। এই পাক বংশগত ক্রিকেটার আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছিলেন।
৩) আলি খান:
আমেরিকার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলের সুযোগ পেয়েছিলেন পাক বংশভূত ক্রিকেটার আলী খান। পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে ২০২০ সালে তাকে চুক্তিবদ্ধ করে শাহরুখ খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুর্ভাগ্যবশত তিনিও চোটের কারণে মাঝপথেই বাদ পড়ে যান।
৪) আজাহার মেহমুদ:
রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করা অলরাউন্ডার আজাহার মেহমুদ ২০০৭ সাল অবধি পাকিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন। তবে ২০১২ সালে আইপিএলে অভিষেক করেন ও কিংস পাঞ্জাব ইলেভেনের অধিনায়ক হন। এই ক্রিকেটার খেলা শেষ করার পর ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন ও সেখানে কাউন্টি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
৫) উজমান খাওয়াজা:
ইসলামাবাদে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ওপেনার উজমান খাওয়াজা ২০১৬-১৭ মরসুমে আইপিএলের রাইজিং পুনে সুপার জাইন্ট-র হয়ে খেলার সুযোগ পান। শৈশব জীবন পাকিস্তানে কাটলেও ক্রিকেট শুরুর আগে তিনি তার পরিবারের সাথে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন।