বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় কিউই দল। রিজার্ভ দিনে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড । দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দলের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানেরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল। মাত্র ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় এবং দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ঋষভ পান্থ (৪১ রান)।
আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের সবচেয়ে বড় পাঁচটি কারণ; এবার সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক:-
১) বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টিম ইন্ডিয়ার কোন ব্যাটসম্যানের হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত নেই। দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যানের মধ্যে একজনও ৪০-র বেশি রান পারেন নি। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে প্রথম ইনিংসে এবং কেন উইলিয়ামসন দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করেছেন।
২) ভারতীয় দলের বোলিং বিভাগে সবচেয়ে বেশি আস্থা ছিল জসপ্রিত বুমরাহের ওপর। তবে তিনি দুই ইনিংসেই উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড এর ফাস্ট বোলার টিম সাউদি, নীল ওয়াগনার, কাইলস জেমিসন ও ট্রেন্ট বোল্টদের দুর্দান্ত লাইন লেন্থে ভারতীয় দল দুই ইনিংসেই অলআউট হয়।
৩) ভারতীয় দলের পরাজয়ের তৃতীয় কারণ ছিল, লো অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। যাদেরকে ফাইনালে পুরোপুরি বর্ণহীন অবস্থায় দেখা গেছে। প্রথম ইনিংসে শেষ চারটি জুটি ৩৫ রান যোগ করে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রান যোগ করে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে শেষ ৪ জুটি ৮৭ রান যোগ করেছিল, যা ভারতীয় দলের উভয় ইনিংসের রানের থেকেও বেশি।
৪) মজার বিষয় হলো, এই ঐতিহাসিক ম্যাচে নিউজিল্যান্ড কোন স্পিনার ছাড়াই ৫ জন ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলতে নামে। যেখানে ভারতীয় দল ৩ জন ফাস্ট বোলার ও ২ জন স্পিনার নেয়। দলের এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। দুই স্পিনার নিয়েছেন মাত্র ৫টি উইকেট। এমনকি ব্যাট হাতেও আশ্বিন ও জাদেজা প্রত্যাশামতো কিছুই করতে পারেন নি।
৫) শেষ দিনে ভারতীয় দলের কৌশল পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স দেখে মনে হয়েছিল যে তারা রান না করে উইকেট বাঁচিয়ে রাখবে এবং ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী থাকবে। অথচ উইকেট পড়তে থাকে আর এদিকে সুবিধাপায় নিউজিল্যান্ড। এটি ছিল মারাত্বক ভুল, যা পরাজয়ের সবচেয়ে বড় কারণ। এদিকে দুই ইনিংসেই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানেরা পরিকল্পনামাফিক খেলেন এবং কেন উইলিয়ামসনের দল চ্যাম্পিয়ন হয়।