বহু ক্রিকেটারের জীবন রাতারাতি বদলে গেছে, আবার কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন যাদের ভাগ্য কখনোই সাথ দেয়নি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পরেও। তাদের মধ্যে এমন এক ভারতীয় খেলোয়াড়ের কথা জানা গিয়েছে, যিনি দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পরেও আজ তাকে বাজারে বসে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে।
২০১৮ সাল ২০ শে ম্যাচ – বিশ্বকাপ ফাইনালটি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে সেই দিনের কথা ভাবলে আজও গর্বের সাথে চোখে জল আসে নরেশ তুম্বার। ওই ম্যাচে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৩০৮ রান তুলে ভারতীয় দলকে বড় চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলেছিল। তবুও পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতীয় দল বিশ্বকাপ জয় করে।
এই ম্যাচে জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নরেশ তুম্বার। এক স্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন তিনি, যার ফলে কিছুদিন ধরে প্রচুর সংবর্ধনা এবং অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন। তবে সেই সব অতীত – কেউ মনে রাখেনি তাকে। অবশেষে নরেশের কপালে জুটেছে অবহেলা।
দৃষ্টিহীন বিশ্বকাপ জয়ের দু’বছরের মধ্যে তিনি দেশের জন্য যে অবদান দিয়েছিলেন তা প্রায় ভুলতে বসেছে অনেকেই। দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো এই দৃষ্টিহীন ক্রিকেটার এখন বাজারে বসে সবজি বিক্রি করছেন। সংসারের অভাবে পড়ে আহমেদাবাদের জামালপুর মার্কেটের এক কোণে বসে সবজি বিক্রি করে দিন কাটে তার।
দেশজুড়ে করোনা সংকটের মুখে পড়ে নরেশের মতো ভাগ্যের পরিহাস হয়তো সবাইকে মেনে নিতে হয় নি। দেশকে বিশ্বকাপ দেওয়ার পর কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেশবাসী মাথায় তুলে রেখেছে। অর্থ, যশ, প্রতিপত্তি কোনো কিছুরই অভাব নেই তাদের – তাহলে নরেশের বেলায় এমন দ্বিচারিতা কেন?
দৃষ্টিহীন হওয়ার জন্য নরেশ কোন চাকরি পাননি। এই ২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটারের কাঁধে এখন পাঁচ সদস্যের সংসারের দায়িত্ব পড়েছে। বিশ্বকাপ খেলার পরে তেমন কিছু অর্থ পাননি, এছাড়া জোটেনি কোন অনুদানও। এরপর কিছুদিন দিনমজুরের কাজ করলেও তা বন্ধ হয়ে যায়, তাই এখন বাধ্য হয়ে তিনি বাজারে সবজি বিক্রি করছেন।