Switzerland: একটা গোটা দিন ২৪ ঘন্টা হলেও আমাদের ঘড়িতে ১২টি সংখ্যা থাকে, যা দুবার করে সময় দেখায়। কিন্তু এই প্রতিবেদনে এমন একটি জায়গার কথা বলা হয়েছে যেখানে ঘড়িতে কখনো ১২টা বাজে না। আসলে সেখানকার ঘড়িতে ১২ সংখ্যাটিই নেই। এর পিছনের কারণ জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন।
সুইজারল্যান্ডের সোলোথার্ন নামক একটি শহরে এই বিশেষ ঘড়িটি (A clock on town square) বসানো হয়েছে। এর বৈশিষ্ট্য হলো এই ঘড়িতে ১২-র পরিবর্তে ১১ সংখ্যাটি রয়েছে। এছাড়া এখানে আরো অনেক ঘড়ি আছে, যেখানে ১২টা বাজে না।
মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই শহরের মানুষ ১১ সংখ্যাটিকে খুবই লাকি বলে মনে করে। তাই এর থেকে অনুমান করা যে, এখানে যা কিছু রয়েছে তা ১১-এর সাথে সম্পর্কিত। মজার বিষয় হল এই শহরে গির্জা এবং চ্যাপেলের সংখ্যা ১১টি করে। এছাড়া জাদুঘর, ঐতিহাসিক জলপ্রপাত এবং টাওয়ারও ১১টি করে রয়েছে।
এখানকার মানুষ ১১ সংখ্যাটিকে এতটাই পছন্দ করে যে, তারা তাদের ১১তম জন্মদিনটি আড়ম্বরের সাথে উদযাপন করে। মজার বিষয় হল, এই উপলক্ষে দেওয়ার উপহারগুলিও ১১ সংখ্যার সাথে কোনো না কোনোভাবে সম্পর্কিত।
১১ সংখ্যাটিকে এখানকার মানুষ খুবই শুভ বলে মনে করে। কথিত আছে, একসময় সোলোথার্নের মানুষেরা কঠোর পরিশ্রম করতো, কিন্তু তা সত্বেও তাদের জীবনে সমস্যা দূর হতো না। এরপর পাহাড় থেকে ‘এলফ’ এসে ওই লোকেদের উৎসাহ দিতে থাকে। এলফের আগমনে সেখানকার মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি আসতে শুরু করে। জার্মানির পৌরাণিক গল্পেও এলফের কথা শোনা যায়।
এখানকার লোকেরা বিশ্বাস করে যে তাদের অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা রয়েছে এবং জার্মান ভাষায় ‘এলফ’ মানে হলো ১১। এই কারণে এখানকার লোকেরা ১১ সংখ্যাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে শুরু করে।