লাদাখ সীমান্তে ভারতের ভয়ে পিছু হটতে বাধ্য হলো চীনের সেনাবাহিনী

লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল তা নিয়ে সম্প্রতি দুই দেশের উচ্চস্তরের সেনা বৈঠকে বসেছিল। এই বঠকে দু’পক্ষের দীর্ঘ আলোচনার পর সুর নরম করেছে চীন। এই আলোচনায় বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য সহমত পোষণ করেছে চীন।

पूर्व लडाख सीमेवर वाढीव लष्करी कुमक ...

ভারতীয় সেনা এদিন জানিয়েছেন যে, ভারত ও চীনের মধ্যে সোমবার হওয়া বৈঠকের আলোচনা পরিস্থিতির অনুকূলেই হয়েছে। দুই পক্ষের সম্মতিতে ওই বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। বৈঠকে পূর্ব লাদাকের সমস্ত বিতর্কিত এলাকাগুলি থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয় আর এতে দুই পক্ষই সম্মতি জানিয়েছে।

সোমবার দুই পক্ষের কমান্ডার স্তরের বৈঠক মোটামুটি ১১ ঘণ্টা ধরে চলে। আর এই বৈঠকে ভারত পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন যে, ততদিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় এমন উত্তেজনা বহাল থাকবে যতদিন না গালওয়ান,প্যাংইয়াং ও হটস্প্রিংয়ে আগের মতো শান্ত পরিস্থিতি ফিরে আসছে।

Closely monitoring' India-China border row: Trump administration ...

১৫ জুন মধ্যরাতে লাদাখ সীমান্তে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তাতে ক্ষতি হয়েছিল দুই দেশেরই। তবে ভারতের তুলনায় চীনের ক্ষতির পরিমাণ ছিল বেশি। এরপর চীন ওই এলাকা থেকে কিছুতেই সরে আসতে রাজি ছিল না। এর ফলে দুই দেশের মধ্যেই চরম সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে আমেরিকা প্রথম থেকেই এই ঘটনা উপর নজর রাখছিল। আমেরিকার এক গোয়েন্দা রিপোর্টের মতে, লাদাখ সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে যে সংঘর্ষ বাঁধে তার জন্য দায়ী চীন। এর কারণ হলো চীন পরিকল্পনা করে ভারতের ওপর আক্রমণ করেছিল। পরে ভারতও পাল্টা আক্রমণ করে ওদের উপর। আমেরিকা এও জানিয়েছে যে, তারা এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে আছে।