আজ থেকে ঠিক ১৭ বছর আগে, ২০০৩ সাল ২৩ শে মার্চ জোহান্সবার্গে বিশ্বকাপ ফাইনালে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ভারতীয় দল ফাইনালে উঠেছিল। টসে জিতেও ভারত সেদিন অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠালে জাহির খানের প্রথম ওভারেই ১৫ রান নিয়েছিল হেডেন গিলক্রিস্ট জুটি। আর আজও দেখা গেল, দীপ্তি শর্মার প্রথম ওভারেই ১৪ রান।
এদিন জোহানেসবার্গের দুঃস্বপ্ন যেন তাড়া করেছিল ভারতীয় দলকে। প্রথম থেকেই অস্ট্রেলিয়ান দুই ওপেনার ভারতীয় বোলিং লাইনআপকে বিধ্বস্ত করে দেয়। ক্রিকেট বিশ্বকাপে দু’বার ফাইনালে উঠলেও কাপ জয়ের স্বপ্নটা এ বারেও অধরা থেকে গেল। পুরুষ ও মহিলাদের ফাইনাল যেন কোথায় এসে মিশে গেল একই কেন্দ্রবিন্দুতে। জোহানেসবার্গ এবং মেলবোর্নের ফাইনাল ম্যাচ শেষে মাথা নিচু করে ফিরতে হলো দুই ভারতীয় অধিনায়ককে।
গিলক্রিস্ট-হেডেন যেভাবে শুরু করেছিল ঠিক একইভাবে আজ অস্ট্রেলিয়ান মহিলা ওপেনার হিলি-মুনি শুরু করে ভারতীয়দের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। অন্যদিকে শুরুতেই সচিন তেন্দুলকার আউট হয়ে ফিরে যান গ্লেন ম্যাকগ্রার বলে। একই পুনরাবৃত্তি ঘটল, আজ শেফালী প্রথম ওভারেই ফিরে গেলেন, যার উপরে বেশি নির্ভর হয়ে পড়েছিল ভারতীয় দল।
ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি ফরম্যাট ভিন্ন। জোহানেসবার্গ এর সেই ফাইনাল ও মেলবোর্নের আজকের ফাইনালের মধ্যে অনেক ব্যবধান থাকলেও কিন্তু দুটো ফাইনালের মধ্যে মিল এক জায়গাতেই। দুটো ম্যাচই অনেক আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেদিনের মতোই ভারতের মহিলারা গোটা টুর্নামেন্টে দাপিয়ে খেললেও ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত হতে হল।
১৮৫ রান তাড়া করতে নেমে, ভারতীয় দল শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে। পাওয়ার প্লে তে ভারত হারিয়ে ফেলে চারটি উইকেট। যার ফলে ম্যাচ এখানেই শেষ হয়ে যায় অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে পুরোপুরি চলে যায় ম্যাচ। গোটা দল ৯৯ রানে গুটিয়ে যায়। ম্যাচ শেষে শেফালীকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন হরমনপ্রীত কৌর। ঠিক একইভাবে সেদিন শচীন-সৌরভও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তাদের খালি ফিরতে হচ্ছে।