আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারের সন্ধান পাওয়া যায়। আইপিএল তাদের বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ করে দেয়। বিশ্বের প্রতিটি উঠতি ক্রিকেটারের আইপিএল খেলার স্বপ্ন দেখেন।
এটা বলা ভুল হবে না যে, গত কয়েক বছরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইপিএলে প্লেয়ারের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভরশীল হয়েছে বিসিসিআই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন অনেক সফল ক্রিকেটার আছেন যাদের আইপিএল আবিষ্কার করেছে বলে মানা হয়।
১) রবীচন্দ্রন অশ্বিন:
রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলের সাথে অত্যন্ত স্মার্ট এবং চতুর বোলিংয়ের জন্য পরিচিত। ২০০৯ সালে এমএস ধোনির নেতৃত্বে সিএসকের হয়ে আইপিএল-এ অভিষেক করেন। ২০১১ সালে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্রিস গেইলকে দুই ম্যাচে দুবার আউট করে শিরোনামে এসেছিলেন। এর এক বছর পরেই তিনি জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন।
২) হার্দিক পান্ডিয়া:
হার্দিক পান্ডিয়া ভারতের অলরাউন্ডারের ঘাটতি পূরণ করেছেন। আইপিএলে তার অভিষেক হয়েছিল ২০১৫ সালে। সিএসকে-র বিপক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হার্দিক এক ওভারে পবন নেগিকে তিনটি ছক্কা মেরে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। প্রায় এক বছর পরে, তিনি জাতীয় দলে আত্মপ্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন।
৩) কে এল রাহুল:
কর্ণাটকের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ভারতীয় দলে একজন প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ২০১৬ সালের আইপিএলে তিনি ৪৪ গড় সহ ১৪৬ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৩৯৭ রান করেন। এরপর তিনি সেই বছরেই জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টিতে আত্মপ্রকাশ করেন। আইপিএলের দ্রুততম (১৪ বলে) হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি তার নামে রয়েছে।
৪) রবীন্দ্র জাদেজা:
২০০৮ সালে রাজস্থানের হয়ে আইপিএল খেলতে গিয়ে শেন ওয়ার্ন তার প্রতিভা খুঁজে পান এবং তাকে রকস্টার বলেন। তার দল চ্যাম্পিয়ন হলে তার পরের বছর টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে এর জন্য জাতীয় দলে ডাক পান। এরপর তার ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় ধোনির অধিনায়কত্বে সিএসকের হয়ে খেলতে গিয়ে জাতীয় দলে তিন বিভাগেই আত্মপ্রকাশ করেন। সেই সময় টেস্ট ক্রিকেটে রবি অশ্বিনের সাথে তাঁর জুটি ভারতকে একটি অদম্য শক্তিতে পরিণত করে।
৫) জসপ্রীত বুমরাহ:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জসপ্রীত বুমরাহ অন্যতম সেরা বোলার। ২০১৩ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর হয়ে খেলতে গিয়ে আরসিবির বিরুদ্ধে প্রথম উইকেট টি নিয়েছিলেন বিরাট কোহলির। এরপর ২০১৬ সালে ১৫টি উইকেট নিয়ে আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন এবং সেই বছরই জাতীয় দলে ডাক পান। এরপর বিরাট কোহলি তাকে টেস্ট দলে সুযোগ করে দেন।