করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এখন সারাদেশে লকডাউন চলছে। দিন দিন বেড়ে চলেছে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার রোগীর সংখ্যা। তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার রাজ্যকে তিনটি জোনে ভাগ করেছেন – রেড জোন, অরেঞ্জ জোন এবং গ্রীন জোন।
লকডাউন উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত জায়গাতে ছাড় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার শুধুমাত্র গ্রীন জোন অঞ্চলটিকে বেছে নিয়েছে। বলা হয়েছে এই অঞ্চলের ছোট ছোট দোকান ব্যবসায়ীদের ছাড় দেওয়া হবে। রাজ্যের আটটি জেলা এখনো পর্যন্ত গ্রীন জোনের মধ্যে রয়েছে।
আগামী সোমবার থেকে এই নিয়ম চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। তবে রেড জোনের মধ্যে যেসব জেলাগুলি রয়েছে সেখানে এই নিয়মগুলি কার্যকর হবে না বলে জানা গিয়েছে। গত বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানিয়েছেন।
এখন কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর এই চারটি জেলা রেড জোনের মধ্যে রয়েছে। এমনকি এই জেলাগুলির কিছু কিছু জায়গা গুলিকে ‘কনটেন্টমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলিতে কিভাবে নিয়ম কার্যকর হবে তা আগামী দিনে বৈঠকের পর সবিস্তারে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দিয়েছেন যে, গ্রীন জোনের মধ্যে যে আটটি জেলা রয়েছে সেগুলোতে বাস চলবে। তবে সেই বাসগুলি কোনোভাবেই অন্য জেলার বাইরে যেতে পারবেনা।
তবে এও জানিয়ে দিয়েছেন ওই বাসে ২০ জনের বেশি কেউ উঠতে পারবে না। সেই ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক আরো অন্যান্য নির্দেশগুলি বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে গ্রীন জোনগুলিতে এখনই সেলুন দোকান খোলা যাচ্ছে না।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া গ্রীন জোনে থাকা জেলা গুলিকে। সেখানকার পাড়ার ছোট ছোট দোকানগুলো খোলা যাবে, তবে মার্কেট কমপ্লেক্স অথবা ফুটপাতে দোকান খোলা যাবে না। তবে যদি পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে সিদ্ধান্ত যে কোন সময় বদলে যাবে বলে।
এক নজরে দেখে নিন, গ্রীন জোনে থাকা অঞ্চলগুলিতে আগামী সোমবার থেকে কি কি খুলতে পারে :
হার্ডওয়ার দোকান, লন্ড্রি, মোবাইল রিচার্জের দোকান, বইয়ের দোকান, রঙের দোকান, চা ও পানের দোকান (তবে আড্ডা বা ভিড় করা যাবে না), কিছু কিছু কারখানা খোলা হবে (স্টিলের কারখানা, আয়রন স্টিলের কারখানা, কনস্ট্রাকশন ফ্যাক্টরি), সরকারি প্রকল্প চালু থাকবে, গ্রামের রাস্তাঘাট তৈরি কাজ চলবে।
উপরিক্ত সবগুলির ক্ষেত্রে জেলাশাসক বা পুলিশ সুপাররা ঠিক করবেন কোথায় কি করা হবে। তবে রেড জোন বা অরেঞ্জ জোন নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন পরবর্তী বৈঠকে এই ব্যাপারে নির্দেশিকা দেওয়া হবে।