আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত টুর্নামেন্ট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার ফাইনাল হবে ১৪ই নভেম্বর। ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার আইসিসি ঘোষণা করেছে। এই মুহূর্তে প্রতিটি দল জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে আবার কেউ কেউ দলও ঘোষণা করেছে।
আজকের প্রতিবেদনে, জেনে নেওয়া যাক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কয়েকটি অজানা রেকর্ড:
১) ক্রিস গেইল:
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল, যার নামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৭ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।
২) যুবরাজ সিং:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহাতারকা হিসেবে যুবরাজ সিংয়ের নাম স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১২ বলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করে বিশ্বরেকর্ড করেছেন। আর সেই ম্যাচেই তিনি স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে ছয় বলে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে একটি অনন্য নজিরও গড়েন।
৩) মাহেলা জয়বর্ধনে:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান হলেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। এই কিংবদন্তি খেলোয়াড় ৩১ ম্যাচে ৩৯.০৭ ব্যাটিং গড় নিয়ে ১০১৬ রান করেছেন।
৪) শাহিদ আফ্রিদি:
পাক অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী। পরিসংখ্যানের কথা বললে, ৩৪ ম্যাচে তিনি ২৩.২৫ গড় নিয়ে ৩৯টি উইকেট নিয়েছেন।
৫) মহেন্দ্র সিং ধোনি:
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচেই ক্যাপ্টেনসি করেছেন। ৩৩ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা ধোনি উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বার আউট করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
৬) শ্রীলঙ্কা দল:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে দল হিসেবে সর্বোচ্চ রানের নজির গড়েছে শ্রীলঙ্কা দল। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান খাড়া করে। এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা দল ১৭২ রানের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।
৭) সর্বোচ্চ জয় ও হার:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ (২২ বার) জয়ের রেকর্ডটি রয়েছে শ্রীলঙ্কার নামে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ (২২ বার) হারের রেকর্ডটি রয়েছে বাংলাদেশের নামে।
৮) ড্যারেন স্যামি:
বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে ড্যারেন সামি দুইবার তার দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবার এবং ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয় ড্যারেন স্যামির দল।