সৌরভের প্রশংসা করায় কোহলির ওপর ক্ষুব্ধ সুনীল গাভাস্কার

গতকালই শেষ হয়েছে ঐতিহাসিক গোলাপি বলের দিনরাত এর টেস্ট, যা প্রথম ভারতবর্ষে অনুষ্ঠিত হয় আর এর পেছনে রয়েছেন পুরোটাই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীর হাত, এরপর বাকিটা ম্যানেজ করে সিএবি। যেখানে পাঁচ দিনের টেস্ট ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তিন দিনের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ইনিংস। ভারতের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের সামনে তারা কোন রকম প্রতিহত করতেই পারল না। শুধু তাই নয় কেউ কেউ চোট আঘাতও পেয়েছে। ভারত একটি ইনিংস সহ বাংলাদেশকে ৪৬ রানে হারিয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতে নেয়।

Image

ম্যাচ শেষে সৌরভ গাঙ্গুলীর খুব প্রশংসা করেন বিরাট কোহলি, তিনি জানিয়েছেন, তাদের এই সাফল্য গত ৪-৫ বছরের অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফল। আর এইসব শুরু হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর আমলে। টেস্ট ক্রিকেটে কিভাবে জেতা যায় তার সবকিছুই সৌরভ গাঙ্গুলির থেকেই শেখা। বিদেশে গিয়ে কিভাবে বিপক্ষ দলকে টেক্কা দিতে হয়, তাও দাদার হাত ধরেই ভারতের ক্রিকেটে বিপ্লব এসেছিল। আর সেই জয়ের ধারাকেই আমরা বয়ে নিয়ে চলেছি। এমন মন্তব্য শোনার পরেই বেজায় চটেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার।  

বিরাট কোহলির এমন মন্তব্য শোনার পরেই বোমা ফাটালেন সুনীল গাভাস্কার, তিনি জানিয়েছেন, “এটা সত্যিই একটা দুর্দান্ত জয় ভারত অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে কিন্তু আমারও এর মাঝে কিছু বলা রয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলী এখন বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়তো তার সাথে এইজন্যই কোহলির সম্পর্ক ভালো হয়েছে। সত্তর আসি দশকেও ভারত বিদেশে টেস্ট ক্রিকেট জয়লাভ করতো। তখন কোহলির জন্মও হয়নি।”

Image

এর পরেই থেমে থাকেনি সুনীল গাভাস্কার তিনি আরো জানিয়েছেন যে, “অনেকে মনে করেন যে ২০০০ সালের পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট শুরু হয়েছিল। কিন্তু আজ থেকে ৩০ বছর আগেও ভারত বিদেশে টেস্ট ক্রিকেট জিততো। বিদেশের মাটিতেও টেস্ট সিরিজ জয় করে এসেছে। তবে বিদেশের মাটিতে যেভাবে অন্যান্য দল হারে, ভারতও সেভাবেই হেরেছে।”

ভিডিও দেখুনঃ পোলার্ডকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন রোহিত, ব্যাগপত্রও ফেলে দিলেন!

গতকাল ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে মুশফিকুর রহিম করতে নেমেছিলেন কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। তৃতীয় দিনের শুরুতেই মাত্র ৪৩ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত ২-০ তে সিরিজ পকেটে পুরে নেয়। অন্যদিকে হ্যামস্ট্রিংয়ে কারণে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ব্যাট করতে নামেননি। শেষ তিনটি উইকেট উমেশ যাদবের খাতায় যোগ হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচটি উইকেট নিয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরিচয় দেন তিনি। অন্যদিকে ইশান্ত শর্মা প্রথম ইনিংসে পাঁচটি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে চারটি উইকেট নিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচের সেরা হন এবং এই সিরিজেও তাকে ম্যান অব দ্যা সিরিজ ঘোষণা করা হয়েছে।