ক্রিকেটে নিত্যনতুন নিয়ম বদলে যাচ্ছে যা কিছু ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে আবার কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। ঠিক তেমনই আইসিসি নিয়ম অনুযায়ী সুপার ওভারের এক বিশেষ নিয়ম চালু হলো। এই নিয়মটি ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে চালু হলে তা আইসিসিকে এতটাই জনরোষের সামনে পড়তে হতো না।
গত ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তা ইতিহাসে এরকম খুব ম্যচেই আলোচনা হয়েছে।নিউজিল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ড এর ফাইনাল ম্যাচ টি শেষ পর্যন্ত সুপার ওভার পর্যন্ত গড়িয়েছিল কিন্তু সুপার ওভারে গিয়েও টাই হয়ে যায়। কিন্তু তখন আইসিসির হাস্যকর নিয়ম অনুযায়ী ওই ম্যাচের মধ্যে যাদের বাউন্ডারি সংখ্যা বেশি থাকবে তারাই জয়ী হবে বলেই ইংল্যান্ড নাটকীয় ভাবে তারা প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতে। হতাশ হয় নিউজিল্যান্ডের প্রতিটি মানুষ তথা সারা বিশ্ব। এবার সেই নিয়মকেই বাতিল করলো আইসিসি ।
আইসিসির বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের টুর্নামেন্টের কোন ম্যাচ যদি ফাইনাল কিংবা সেমিফাইনালে সুপার ওভার পর্যন্ত গড়িয়েও যদি টাই হয়ে যায়, তাহলে এখন আর বাউন্ডারি সংখ্যা বিচার করে ম্যাচ ঘোষিত করা যাবে না। ফের আবার আরও একটা স্পেশাল সুপার ওভার চালু হবে, যতক্ষণ না রানের বিচারে কোন দল জয়ী হচ্ছে। অনেকটা ফুটবলের ট্রাইবেকারের মতো নিয়ম করা হলো।
এখন নেটিজেনরা প্রবল দাবি তুলেছে এই নিয়ম কেন আগে বানানো হলো না? যদি এমনটা নিয়ম আইসিসি বিশ্বকাপ শুরুর আগে বানানো হতো তাহলে ইংল্যান্ড কখনোই বাউন্ডারি নিরিখে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারত না সেই ক্ষেত্রে আবারো একটা সুপার ওভার দেখতে পেত গোটা বিশ্ববাসী আর সেখানেই নির্ধারিত হতো বেশি রান করা জয়ী দল।
আইসিসি তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, অতীতে সুপার ওভারে ম্যাচের ফলাফল ঘোষিত বিশ্বকাপের শুধুমাত্র নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোতে। কিন্তু এখন সেই নিয়ম অনুযায়ী কোন ম্যাচ আর টাই হবে না এখন সকল ম্যাচ সুপার ওভার এর দ্বারা নির্ধারিত করা হবে যতক্ষন না সেই ম্যাচ বেশি রানে কেউ জয়ী হচ্ছে।