টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস বহু পুরনো। ১৮৭৭ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক টেস্ট শুরু হয়। ক্রিকেটের এই দীর্ঘ ফর্ম্যাটটিতে লাল বল দিয়েই খেলা হয়ে আসছে। তবে ২০১৫ সালে টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে দিনরাতের (ডে নাইট) টেস্ট শুরু হয় গোলাপী বলের মাধ্যমে।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলা দিয়ে প্রথমবার গোলাপী বলে ডে নাইট টেস্ট শুরু হয়। তারপর থেকে গোলাপী বলের (পিঙ্ক টেস্ট) টেস্ট ম্যাচে ট্রেন্ড রয়েছে, যা এখন প্রত্যেকের কাছে প্রিয়।
গোলাপী বল টেস্ট ক্রিকেটে কিছুটা রোমাঞ্চ তৈরি করে। এটি খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দর্শকদের উপরও প্রভাব ফেলেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পিঙ্ক টেস্ট শুরু হয়। যা বিশ্বজুড়ে এই ম্যাচটি এখন সবার নজর কেড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অভিজ্ঞ স্পিন বোলার শেন ওয়ার্ন বলেছেন, “লাল বল আর বোলারদের সাহায্য করে না। তাই সময় এসেছে এই পুরানো বলটি ছেড়ে নতুন গোলাপী বল ব্যবহার করা।”
তিনি জানান “আমি গত কয়েক বছর ধরে এটি বলে আসছি। আমি মনে করি যে, সব টেস্ট ম্যাচে গোলাপী বল ব্যবহার করা উচিত। এমনকি দিনের ম্যাচগুলিতেও। গোলাপী বলটি দেখতে সুন্দর। দর্শকরা এটি সহজেই দেখতে পারে। এমনকি টিভির পর্দাতেও ভাল লাগে। তাই সর্বদা গোলাপী বল ব্যবহার করা উচিত।”
শেন ওয়ার্ন আরও জানান “আমি চাই প্রতিটি টেস্টে গোলাপী বল ব্যবহার করা হোক। ৬০ ওভারের পরে বলটি নরম হওয়ার সাথে সাথে এটি পরিবর্তন করা যেতে পারে। লাল বল এখন আর সুইং করে না, এমনকি ২৫ ওভারের মধ্যেই এটি নরম হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের ডিউক বল বাদে এটি কোন কাজেই আসে না।”