শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) গত বহু বছর ধরে তার ভক্তদের বিনোদন দিয়ে আসছেন। টিভিতে কাজ করার পর তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সুপারস্টার হয়ে যান। আজ শাহরুখ খান সাফল্যের সবচেয়ে বড় পয়েন্টে পৌঁছে গেলেও তার স্টারডমের কৃতিত্ব তিনি দেন অভিনেতা আরমান কোহলিকে (Armaan Kohli)।
আসলে ব্যাপারটা হল দিওয়ানা (Deewana) ছবির জন্য শাহরুখ খান নয়, আরমান কোহলিই ছিলেন প্রথম পছন্দ। তিনি দিব্যা ভারতীর (Divya Bharti) সাথে পোস্টারের জন্যও শুটিং করেছিলেন, কিন্তু পরে তিনি কিছু কারণে ছবিতে কাজ করতে অস্বীকার করেছিলেন। এর পর ছবিটি চলে যায় শাহরুখ খানের কাছে। এই সিনেমা দিয়েই বলিউডে অভিষেক হয় শাহরুখের।
যদিও দিওয়ানা ছবিতে মুখ্য অভিনেতা ছিলেন না, কিন্তু অভিনয় দিয়ে মানুষের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি ২০১৬ সালে, শাহরুখ খান ইয়ারন কি বারাত শো-তে প্রকাশ করেছিলেন যে তার স্টারডমের কৃতিত্ব আরমান কোহলিকে যায়। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমার তারকা হওয়ার পেছনে আরমান কোহলির বড় হাত রয়েছে।
ছবির পোস্টারে প্রয়াত অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর সঙ্গে ছিলেন তিনি। সেই পোস্টার আজও আমার কাছে আছে। আমাকে তারকা বানানোর জন্য আরমান কোহলিকে ধন্যবাদ। শাহরুখ খানের পাঠান ছবিটি ব্লকবাস্টার প্রমাণিত হয়েছিল। এই মুভিটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
এখন শাহরুখ খানকে ‘জওয়ান’ এবং ‘ডানকি’-এর মতো ছবিতে দেখা যাবে, যা একের পর এক প্রেক্ষাগৃহে হিট করবে। এই ছবিগুলো মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কিং খানের ভক্তরা। শুধু ‘দিওয়ানা’ নয়, ‘বাজিগর’ ছবিতেও মুখ্যচরিত্রে কাজ করার সুযোগ হারান আরমান। পরে শাহরুখ অভিনয়ের প্রস্তাব পান।
এদিকে আরমান কোহলির ক্যারিয়ার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি ছবিতে অভিনয় করে যতটা সুনাম অর্জন করেছেন তার থেকেও বেশি বিতর্ক থেকেছেন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। মাদক কান্ডে জড়িয়ে জেলও খেটেছেন তিনি। তার বাবা ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক রাজকুমার কোহলি।
২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জানি দুশমন: এক আনোখি কাহানি’ ছবিতে অক্ষয়, সানি, সুনীল শেঠির মতো তারকারা অভিনয় করলেও সকলের মন কেড়েছিলেন আরমান। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় তাকে দেখা গেলেও আরমান দর্শক মহলে নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছেন।