বিরাট কোহলির সঙ্গে বাংলাদেশি পেসার রুবেল হাসানের দ্বন্দ্ব প্রায়ই লেগে থাকে। তাদেরকে একসাথে বহুবার বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের সময় এই দুই ক্রিকেটারের লড়াই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনার মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে।
কিন্তু এই দ্বন্দ্ব কেন? তবে ক্রিকেট ইতিহাসে এটা নতুন নয়। এর আগেও অনেক ক্রিকেটারকে ২২ গজের মধ্যে লড়তে দেখা গেছে। এ বিষয়ে বিরাট কোহলি কখনোই মুখ খোলেননি কিন্তু রুবেল হাসান এদিন তা খোলাসা করেই ফেললেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে গৃহবন্দী হয়ে এখন প্রতিটি ক্রিকেটার যোগাযোগ রাখতে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছেন। এদিন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার – তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মোর্তাজা ও রুবেল হাসান ফেসবুক লাইভে আড্ডা দেওয়ার সময় তখনই বিরাট কোহলির সঙ্গে রুবেলের দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রসঙ্গ ওঠে।
রুবেল হাসান জানান, “অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার সময় থেকেই ওর সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব। সেই সময় খেলতে গিয়ে কোহলি প্রচন্ড স্লেজিং করত। তবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর এখন কিছুটা কম স্লেজিং করে। একবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার সময় আমাদের ব্যাটসম্যানদের খুবই গালিগালাজ করেছিল।
সেদিন দলের প্রায় সব ব্যাটসম্যানদের বিরাট কোহলির স্লেজিং সহ্য করতে হয়েছিল। ওই ম্যাচে আমি আউট করেছিলাম। এরপর তার সামনে আমি দৌড়ে যাই এবং আমিও ওকে স্লেজিং করতে থাকি। এরপর সে আমার দিকে ব্যাট উঁচিয়ে এগিয়ে আসে। এরপর ব্যাপারটি সামাল দেন আম্পায়াররা। সেই থেকেই ওর সাথে আমার দ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে।”
বিরাট কোহলি ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রুবেলদের বেধড়ক ঠেঙ্গিয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এটিই ছিল বিরাট কোহলির বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। এরপর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে রুবেলের বলে কোহলি মাত্র ৩ রান করে আউট হয়ে ফিরে যান। সেদিনও রুবেল তার দিকে স্লেজিং করতে করতে এগিয়ে আসে। এখন ব্যাপারটি পুরো স্পষ্ট তাদের দ্বন্দ্বটা অনেক পুরনো।