ফিটনেস বজায় রাখার জন্য সবার প্রথমে যেটা আসে তাহলো শরীরচর্চা। শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া করলেই সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করা যায় না তার সাথে শরীরচর্চা করাটাও একান্ত প্রয়োজনীয়। শরীরচর্চা যেকোনো সময় করা যেতে পারে তবে সকাল এবং বিকালবেলাকে উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দেহ এবং মনকে সুস্থ রাখা ছাড়াও শরীর চর্চার ফলে আমরা কি কি উপকার পাচ্ছি –
১) শরীরচর্চার ফলে দেহের মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি ঘটে থাকে। বর্তমানে দূষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে সুতরাং নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রত্যেকেরই উচিত।
২) যে সকল ব্যক্তিরা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩) শরীরচর্চা শুধুমাত্র দেহকে রোগমুক্ত করে না কেবল আমাদের আয়ুষ্কাল বাড়িয়ে দেয় অর্থাৎ দীর্ঘজীবী করে।
৪) যে সকল ব্যক্তিরা উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত শরীর চর্চা করলে এই রোগটিকে প্রশমিত করা যায়।
৫) নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কয়েকটি ক্যান্সারের প্রতিরোধ হয়। যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি।
৬) যে সকল ব্যক্তিরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন সাধারণত অন্যান্যদের তুলনায় তাদের পেশী সুস্থ এবং সবল হয়।
৭) যে সকল ব্যক্তিদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়ায় নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তারা শরীরচর্চা করলে অনেকটাই ভালো ফল পাবেন।
৮) নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হৃদপিণ্ড থেকে শুরু করে শরীরের সমস্ত ধমনী শিরা-উপশিরা গুলিতে রক্তসংবহন ভালো হয় যার ফলে হৃদজনিত কোন সমস্যায় ভুগতে হয় না।
৯) যে সকল ব্যক্তিরা অতিরিক্ত চিন্তা করেন বা ট্রেস জাতীয় সমস্যায় ভুগছেন তাদের নিয়মিত শরীর চর্চা করা উচিত তাহলে এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং সেই সাথে মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
১০) বয়স কালে প্রত্যেকেই হাড় জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, যে সকল ব্যক্তিরা নিয়মিত করেন তাদের বয়স কালে এই সমস্যায় পড়তে হয় না।
১১) আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতই বেড়ে যায় যে এই ধরনের কোন রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
১২) সকালে উঠেই শরীরচর্চা শুরু করলে সারাদিন নিজেকে সুস্থ রাখা যায় এবং মন ভালো থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থ থাকলে দূর হয়ে যায়।
১৩) নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে অনিদ্রার সমস্যা কাটাতে পারে। অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ ঘুম হয় এবং ঘুম আসেও সহজে।