রাবনের কন্যা, যিনি হনুমানজির প্রেমে পড়েছিলেন, তারপর কী হয়েছিল জানেন?

হনুমানজির প্রেমে পড়েন রাবনের কন্যা, অতঃপর যা হলো..

The Ramayana of Southeast Asia: শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে রামায়ণ (Ramayana) প্রচলিত। গোটা বিশ্বে অসংখ্য শ্রীরামের ভক্ত রয়েছেন, যার সাথে সম্পর্কিত অনেক গল্পও রয়েছে। বাল্মিকীর লেখা রামায়ণ ছাড়াও অনেক দেশের রামায়ণের বিভিন্ন সংস্করণ পাওয়া যায়। যেখানে রাবণের (Ravana) কন্যার কথা বলা হয়েছে। তাই নয় রামায়ণের এই সংস্করণে রাবণের কন্যা হনুমানজির (Hanumanji) প্রেমে পড়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে।

আসলে থাইল্যান্ডের রামকিন রামায়ণ এবং কম্বোডিয়ার রামকার রামায়ণে রাবণ কন্যার কথা বলা হয়েছে। এই সংস্করণ অনুসারে, রাবণের তিন স্ত্রীর সাত পুত্র ছিল এবং একটি কন্যাও ছিল। যার নাম সুবর্ণমাছ বা সুবর্ণমৎস (Suvarnamatsya)। কথিত আছে, সোনালি মাছ দেখতে খুবই সুন্দর। সোনালি মাছের আক্ষরিক অর্থ হলো সোনার মাছ।

Image

সুবর্ণমৎস্যের শরীরের অর্ধেক মানুষের মত এবং বাকি অর্ধেক ছিল মাছের মত। তাই তাকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় সোনার মৎস্যকন্যা হিসেবে পূজা করা হয়। যাইহোক, শ্রীরাম লঙ্কা জয় করার জন্য সমুদ্রের উপর একটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রাবণ এই পরিকল্পনা বানচাল করার দায়িত্ব দেন তার কন্যা সুবর্ণমৎসকে।

বাবার অনুমতি পেয়ে, সাগরে ছোঁড়া সমস্ত পাথর ঢিল বিলীন করে দিতে থাকে। এরপর হনুমানজি দেখলেন নিক্ষিপ্ত পাথরগুলো কোথায় যাচ্ছে, তাই পরিস্থিতি বুঝে সমুদ্রে দেখতে গিয়ে দেখলেন এক মৎস্যকন্যা এই কাজ করছে এবং তাকেও এই নির্দেশ দিচ্ছে। গল্পে বলা হয়েছে, সুবর্ণমৎস হনুমানজিকে দেখার সাথে সাথে তার প্রেমে পড়ে যান।

হনুমানজি, তার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে তাকে সমুদ্রে তটে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে দেবী তুমি কে?’। উত্তরে জানান, রাবণ কন্যা সুবর্ণমৎস। তখন হনুমানজি তাকে রাবণের অন্যায় কাজের কথা জানান। এরপর সুবর্ণমৎস সব বুঝে সমস্ত শিলা ফেরত দিলে তখন রামসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তবে ভারতীয় রামায়ণে রাবণ কন্যার কোন উল্লেখ বা পরিচয় পাওয়া যায় না।