রাবণ তার জীবনের অন্তিম সময়ে ৩টি অমূল্য উপদেশের কথা বলেছিলেন

গতকাল বিজয়া দশমী ছিল আর এই দিনটিকে মন্দের ওপর ভালোর বিজয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সীতা মাকে অপহরণ করাই কাল হয়ে দাঁড়ায় রাবণের। রাবণ একজন শক্তিশালী যোদ্ধা ছাড়াও অত্যন্ত জ্ঞানী ও বিদ্বান ছিলেন। রামায়ণের কাহিনী অনুযায়ী, ভগবান শ্রী রামের হাতেই নিহত হয়েছিলেন রাবণ।

কথিত আছে যে, রাবণ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পণ্ডিত। রাবণের অন্তিম সময়ে ভগবান রাম লক্ষণকে তার কাছে আদর্শ নীতি ও জ্ঞান অর্জন করার অনুরোধ করেন। এই সময় লক্ষণ রাবণের পায়ের কাছে এসে নীতি ও জ্ঞান অর্জনের কথা বলেন। তখন রাবণ লক্ষণকে জীবনের তিনটি অমূল্য উপদেশের কথা বলেছিলেন।

Image

প্রথম উপদেশ: শুভ কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত, কখনো তা ফেলে রাখা উচিত নয়। নইলে জীবন কবে শেষ হয়ে যাবে তা জানে না এবং যত খারাপ জিনিস এড়ানো যায় ততই ভালো।

দ্বিতীয় উপদেশ: রোগ এবং শত্রুকে কখনোই ছোট মনে করা উচিত নয়। এমনকি সামান্য রোগ বা দুর্বল শত্রুও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। ঠিক একইভাবে রাবণও রাম ও বানর সেনাদের তুচ্ছ বলে মনে করেছিলেন এবং তারাই তার মৃত্যুর কারণ হয়।

তৃতীয় উপদেশ: জীবনের সাথে সম্পর্কিত গোপনীয়তা যতটা সম্ভব গোপন রাখা উচিত। এমনকি প্রিয়জনকেও বলা উচিত নয় যদি সেই কথা ফাঁস হয়ে যায় তাহলে তার জীবনে বড় প্রভাব পড়তে পারে। যেভাবে বিভীষণ রাবণের ব্যাপারে সমস্ত গোপন কথা ফাঁস করেছিলেন এবং এটি তার পরাজয়ের কারণ হয়ে ওঠে।