গাড়ির চাকা দেখলে কুকুরেরা প্রস্রাব করে কেন? ৯০% মানুষের অজানা

বহু প্রাচীনকাল থেকেই কুকুর মানুষের সঙ্গী হিসেবে রয়েছে। বিখ্যাত মহাকাব্য মহাভারতেও অন্তিম যাত্রায় যে যুধিষ্ঠির সঙ্গী হয়েছিলেন স্বয়ং ধর্ম, তাও এই কুকুরের বেশেই। ভারতের রাস্তায় প্রচুর সংখ্যক দেশী জাতের কুকুর ঘোরাফেরা করে। তবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের হলেও রাস্তায় থাকা কুকুরদের নির্দিষ্ট কিছু স্বভাব পরিলক্ষিত হয়।

তবে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা মানুষেরা মাথা ঘামান না অথবা কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন না। কালের নিয়মে একই জিনিস বারংবার ঘুরতে থাকে চারপাশে। রাস্তার কুকুরেরাও এমন কিছুই কাজ করে থাকে। আসলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কোন গাড়ি দেখলেই কুকুরেরা গাড়ির চাকায় মূত্র ত্যাগ করে। আপাতত এই বিষয়টি ভাবা না হলেও এর পিছনে যথার্থ কারণ রয়েছে।

Image

প্রস্রাবের মাধ্যমে নিজেদের একটা গণ্ডি তৈরি করে কুকুর। কোন টায়ার বা পোলে মুত্র ত্যাগ করে নিজস্ব চিহ্ন রেখে যায় তারা। আর এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য কুকুরদের কাছে, ফলে সেই কুকুররাও একই পথ বেছে নেয় এবং তারাও জড়ো হয়ে একই জায়গায় মূত্র ত্যাগ করে। টায়ারে প্রস্রাবের গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী। এটি তাদের অন্য সঙ্গীদের সাথে যোগাযোগ করার উপায়।

গাড়ির চাকাই বা বিদ্যুতের খুঁটিতে প্রস্রাব করার ফলে অন্য সঙ্গীরাও সেই গন্ধ শুঁকে বুজে যায় যে তারা দলছাড়া হয়নি। মাটিতে প্রস্রাব করলে অল্প সময়ের পর মিলিয়ে যায়, তখন একে অপরের হদিস পেতে সমস্যা হয়। তাই কুকুরেরা এমন জায়গায় বেছে নেয় যেখানে তাদের প্রসাবের গন্ধ দীর্ঘক্ষণ থাকে। 

এছাড়াও বলা হয়েছে, কুকুররা টায়ারের গন্ধ খুব পছন্দ করে। তাই টায়ারের গন্ধে আকৃষ্ট হয়েই বারবার গাড়ির টায়ারে প্রস্রাব করে। এমন অনেক সময় কোনও এলাকায় গাড়ি ঢুকলে কুকুরেরা ডাকাডাকি শুরু করে বা তার পিছনে ধাওয়া করে যতক্ষণ না সেই গাড়ি ওই এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এমনটা হলে বুঝতে হবে যে সেটা ওই এলাকার কোনও গাড়ি নয়।