সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিশ্বের সেরা পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়কে বেছে নিতে বলা হয়েছিল রাশিদ খানকে। ২৩ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় ২০১৫ সাল থেকে আফগানিস্তানের হয়ে ৫১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এবং ৬.২১ ইকোনমি রেট এবং ১২.৬ গড় নিয়ে ৯৫টি উইকেট নিয়েছেন।
রাশিদ খানের সেরা ৫ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের মধ্যে তাঁর প্রথম বাছাই ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি যেমনই হোক কোহলি পারফরম্যান্স করতে সক্ষম হন। তিনি ২০১২ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। এই নিয়ে তিনি ৪টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবেন। কোহলি ২০১৪ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন।
রাশিদ খানের দ্বিতীয় পছন্দের সেরা খেলোয়াড় হলেন কেন উইলিয়ামস। শান্তশিষ্ট ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে উইলিয়ামস অভূতপূর্ব উন্নতি করেন। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন।
রাশিদের তৃতীয় বাছাই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। ডি ভিলিয়ার্স ২০১৬ সালে রাশিদ খানের বিরুদ্ধে ২৯ রান করেছিলেন। রশিদ বলেন, পিচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ডি ভিলিয়ার্স দ্রুত রান করতে পারেন। একজন ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান তিনি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। সুতরাং একজন অধিনায়ক হিসেবে তার মতো ব্যাটসম্যানকে সবসময় চাইবে।
এই ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটারের (রাশিদ খান) শেষ দুটি বাছাই হলেন কায়রন পোলার্ড এবং হার্দিক পান্ডিয়া। পোলার্ড ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। এবার তৃতীয় শিরোপার জন্য ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে নেতৃত্ব দেবেন। এদিকে ২০১৬ সালে হার্দিক পান্ডিয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন। তিন বলে দুই রান রক্ষা করে তিনি ভারতীয় দলকে টুর্নামেন্টে বাঁচিয়ে রাখেন।