রাতারাতি ভাগ্য বদল হলো পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বাসিন্দা গৌড় দাসের। আপাতত তিনি এখন সেলিব্রিটি তাকে দেখতে ভিড় করছেন গুসকরা স্থানীয় বাসিন্দা থেকেও আশেপাশে বহু অঞ্চলের মানুষ। কারণ তিনি এখন ৫০ লক্ষ টাকার মালিক, এর জন্য তাকে শুধু খরচ করতে হয়েছিল মাত্র ৩০ টাকা। কিন্তু কিভাবে?
খবর সূত্রে জানা যায়, খুবই অভাব এর মধ্য দিয়ে চলছিল তার সংসার। ঘরে রয়েছে তিন সন্তানসহ মা এবং স্ত্রী। কোনরকমে দিনপাত হতো তার। এই জন্য কখনো কখনো তার স্ত্রী এবং বিধবা মা ও দিনমজুরদের জন্য কাজে যেতেন। সন্তানরা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, রয়েছে সেখানেও খরচ। ঠিক এরমাঝেই রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেল ওই রিকশাচালকের।
খবরের সূত্র অনুযায়ী তিনি রবিবার সকালের দিকে লটারি কেটেছিলেন। আর ওই দিনকেই সমস্ত রিকশাচালকদের দলবল পিকনিক করতে যাওয়ার কথা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তাদের পিকনিক করতে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাতিল হয়। ওই রিকশাচালকও বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন পিকনিক করার উদ্দেশ্য নিয়ে। এরপর তিনি নিজের কাজে লেগে যান ঠিক সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় তাকে এক হকার জোর করে টিকিট কাটতে বলেছিলেন কিন্তু তার কাছে মাত্র পড়েছিল ৭০ টাকা। কিন্তু এর মধ্যে যদি সে ৩০ টাকার টিকেট কাটে তাহলে সংসার চলবে কি করে? এই ভাবনা ও তার মনে জেগেছিল কিন্তু কোন রকম চিন্তা ভাবনা না করেই অবশেষে টিকিট কেটে ফেলে ওই রিকশাচালক।
এরপর ওই দিন বিকেল বেলায় সেই টিকিট কাউন্টারে নিজের টিকিটের সংখ্যা মেলাতে গিয়ে দেখে যে তিনি প্রথম পুরস্কার জয়ী হয়েছেন। সেই পুরস্কারের মূল্য ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সরাসরি তিনি বাড়িতে এসে কথাটি মা এবং স্ত্রীকে বলেন যদিও পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে কথাটি গোপন রেখেছিলেন নিরাপত্তার কারণে। এর পরেই জানাজানি হলে তার বাড়িতে ভিড় করছেন চতুর্দিক থেকে ছুটে আসা মানুষ। এরপর দিন গুসকরার ব্যাংকে সমস্ত টাকা জমা করেন ওই রিকশাচালক। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এই টাকা নিয়ে কী করবেন, তিনি উত্তর জানান একটি ভালো বাড়ি করার উদ্দেশ্যে রয়েছে এবং ছেলেমেয়েদের ভালো করে লেখাপড়া শেখাবেন। তিনি কি আর রিক্সা চালাবেন? এর উত্তর এসেছিল “না” তবে একটা টোটো কিনবেন।