হার্ট অ্যাটাক যেকোন সময় দেখা দিতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন বা অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করলে এমনকি কোন শরীরচর্চা না করলে এই ধরনের আশঙ্কা থাকে। তবে যেসব উপসর্গ দেখে আপনি আগে থেকেই সতর্ক হতে পারবেন তা হল – বুকের মধ্যে অস্বস্তি ব্যাথা, পেট এর ওপরে ব্যাথা, বাঁ হাত ব্যথা, এমন কি ঘাড় ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এছাড়াও বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শরীরে ঘাম হওয়া।
👉 হার্ট অ্যাটাক হবার মাসখানেক আগে থেকে যে পূর্ববর্তী লক্ষণগুলি দেখা দেয়ঃ
১) দুর্বলতা:- শারীরিক দুর্বলতা বিভিন্ন রোগের কারণ এটাও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম একটি লক্ষণ। কারণ দেহের মধ্যে রক্ত চলাচলের শিরা-উপ শিরাগুলি ব্লক হয়ে গেলে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে হঠাৎ করে এই রোগটি দেখা দিতে পারে।
২) ঝিমুনি ভাব:- রক্তাল্পতার কারণ বা দেহের মধ্যে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনি ভাব আসে। এমনকি মাথায় রক্ত চলাচল কম করলে ঝিমুনি ভাব আসবে।
৩) ঠান্ডা ঘাম:- দেহের মধ্যে যদি রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমে যায় তাহলে শরীরের মধ্যে ঘাম ঝরলে তা সাথে এবং ঠান্ডা অনুভূত হবে।
৪) বুকব্যথা:- হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম একটি লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা। শুধু বুক নয় বুকের সাথে বা হাতের বাহু, ঘাড় এর মধ্যে ব্যথা অনুভূত হতে শুরু করবে। এমনটি হলে দ্রুত চিকিৎসালয়ে যোগাযোগ করুন। বুকে ব্যথা এটি হৃদপিন্ডের অসুস্থতার বড় একটি লক্ষণ।
৫) শ্বাসকষ্ট:- শরীরের মধ্যে সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ না হলে এবং ফুসফুসের পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের যোগান না দিলে এই ধরনের বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। হট সমস্যা থাকলে ফুসফুসের মধ্যে রক্ত সংবহন এর পরিমাণ কমে যায়। তা থেকে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসনালি ছোট হয়ে যাওয়ার কারণেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
৬) ঠান্ডা লাগা:- চিকিৎসকদের মতে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ব্যক্তিদের মাসখানেক আগে থেকে ঠাণ্ডা-সর্দি বা ফ্লু-তে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।
৭) বমি ও পেট ব্যথা:- বদহজম বমি বমি ভাব বুকব্যথা এমনকি পেট ব্যথা ও হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। যে সকল ব্যক্তিরা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের এই ধরনের উপসর্গগুলি আগে থেকেই দেখা গিয়েছিল।