গত ১১ই ডিসেম্বর নাগরিত্ব সংশোধনী আইন বিল পাস হওয়ার পরে, দেশজুড়ে বিরোধীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার সহ উত্তর পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যে জ্বলছে আগুন, ভাঙচুর হচ্ছে ট্রেন, বাস এবং নষ্ট হচ্ছে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে এই নিয়ে সাধারন মানুষকে উতলা হওয়ার কোন দরকার নেই। তা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত চলছে মিছিল, ধর্মঘট, বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা আর যাতায়াত ব্যবস্থা যার ফলে সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তির শেষ নেই।
ঠিক এই সময়ে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে নাগরিকত্ব প্রমাণ পেতে হলে যেকোনো একটি শংসাপত্র থাকলেই হবে যার ফলে সাধারণ মানুষকে কোন রকম সমস্যায় পড়তে না হয়। এখন দেশ জুড়ে এনআরসি ও সিএবি নিয়ে যে বিরুদ্ধমত এবং ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তা রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সরকার প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছে সাধারণ মানুষ অকারণে উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন। এক্ষেত্রে কোন নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না, সকলকেই নাগরিত্ব প্রদান করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে যে, ভারতীয় নাগরিকদের নাগরিত্ব প্রমাণে শুধুমাত্র জন্মস্থান বা জন্ম তারিখ সংক্রান্ত নথিপত্র অর্থাৎ যেকোনো দুটির একটি শংসাপত্র জমা করতে পারলেই হবে। কারণ এই দুটি নথির মধ্যে বহু নথির পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। এজন্য ১৯৭১ সালের আগেকার পূর্বপুরুষের কোন পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে না। সাধারণ মানুষ যাতে কোন অসুবিধায় না পড়ে তার জন্য এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানাল কেন্দ্র।
#CAA2019 protects the interests of the tribals & indigenous people of North East by excluding areas under 6th Schedule and areas covered by Inner Line Permit.
Therefore, there is no question of any influx of foreigners swamping the indigenous population.
9/9
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) December 18, 2019
সম্প্রতি ভারতের আসাম রাজ্যে চালু হয়েছে এনআরসি, এরপর এই গোটা দেশেই এনআরসি চালু করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের সাধারণ মানুষও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। যেহেতু আসামে এনআরসি হওয়ার পর তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ১৯ লক্ষ মানুষ। এই আশঙ্কার ফলেই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল ভাঙচুর হচ্ছে। এনআরসি বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশসহ সাতটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তাদের দাবি, এনআরসি প্রয়োগ করা যাবে না বলে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রকে। ঠিক এই সময়ে, পিআইবি-র তরফে টুইট করে জানানো হল, নাগরিকত্ব প্রমাণে কেবলমাত্র একটি বা দু’টি নথিই প্রয়োজন, তার বেশি নয়!