সামান্য মানসিক চাপে আমাদের মাথা যন্ত্রণা দেখা দেয় আবার কখনো কখনো মাইগ্রেন বা সাইনাসের সমস্যা না থাকলেও এই রোগের শিকার অনেকেই। এছাড়া এটি শরীরের অন্য কোন সমস্যা থাকলেও তা ইঙ্গিত দেয়।
সর্দি লাগলে মাথা যন্ত্রণা হওয়া আর মাঝেমধ্যেই মাথাব্যথায় কাবু হওয়া একই জিনিস নয়। এটি অনেক সময় দৃষ্টি জনিত সমস্যার কারণে হয় আবার কখনও কখনও মাথার পিছন দিকে অসহ্য যন্ত্রণা করলে তা টিউমার জাতীয় অসুখ থেকেও হতে পারে।
অনেকেই মাথা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে পেনকিলার খেয়ে নেন কিন্তু এটি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। বারবার মাথা যন্ত্রণা ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে সবসময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সুযোগ বা সময় হয়না তাই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কফি বা চা-এর নেশা ছাড়ুন: একটু মাথাব্যথা হলেই চা কিংবা কফির ওপরে নির্ভর হয়। আমাদের ধারণা এই জাতীয় পানীয় গুলি মাথা সারিয়ে তোলে কিন্তু তা একেবারেই ভুল। আসলে কফির মধ্যে ক্যাফিন রয়েছে যা স্নায়ুর উদ্দীপনাকে আরো বাড়িয়ে তোলে তাই মাথা ব্যথা কমেছে বলে মনে হয়। চিকিৎসকদের মতে, মাথা ব্যথা সারাতে চা ও কফির উপর বেশি নির্ভরশীল হলে শরীরের বিভিন্ন জটিলতা ডেকে আনতে পারে।
বিশ্রাম নিন: মাথা যন্ত্রণা হলে কখনোই কোন কাজের মধ্যেই থাকবেন না। এই সময়ে সবচেয়ে সেরা উপায় হল অন্ধকার ঘরে চোখ বুজে শুয়ে থাকা। চেষ্টা করুন মৃদু আওয়াজে পছন্দের গান শোনা। আধাঘন্টা চোখ বুজে থাকলে মাথাব্যথার অনেকটাই উপশম হয়। তবে এই সময়ের মোবাইল কিংবা টিভি দেখবেন না, কারণ এইগুলি আরো মাথাব্যথা বাড়িয়ে তোলে।
ম্যাসাজ: ঘন ঘন মাথা যন্ত্রণার প্রভাব এড়ানোর জন্য ফিটনেস এক্সপার্ট এর পরামর্শ নিন। কারণ মাথা যন্ত্রণা কমানোর কয়েক ধরনের ম্যাসাজ রয়েছে। যার ফলে মাথা যন্ত্রণা খুবই দ্রুত কমে আসে।
উগ্র গন্ধ এড়িয়ে চলুন: অনেক সময় দেখা গেছে পারফিউম, ধূপধুনো অথবা রুম ফ্রেশনারের উগ্র গন্ধ থেকেও মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। মাথাব্যথা হলে এই সমস্ত গন্ধ থেকে দূরে থাকুন, না হলে মাথাব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে।
মিলন: গবেষকদের মতে, মিলনের সময় শরীরের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের দ্বারা এনডোরফিন হরমোন ক্ষরিত হয়। এই হরমোন মূলত ‘ফিল গুড’ অর্থাৎ ভালো অনুভূতি হওয়া গুলিকে অনেকক্ষণ স্থায়ী করে এবং এটি যেকোন বেদনানাশক ওষুধ এর চেয়েও বেশি শক্তিশালী। এর প্রভাবে মাথা যন্ত্রণা সেরে ওঠে।