অম্বুবাচীর দিন কোন কাজগুলো করা একেবারেই উচিত নয় আর উচিত, জেনে নিন

সকলেরই জানা বছরের আষাঢ় মাসের ৭ তারিখে পালন করা হয় অম্বুবাচী। এই তিথিতে প্রকৃতি জাগ্রত হয় এবং এই সময়ে মায়ের মন্দিরের দরজা যেহেতু বন্ধ থাকে তাই একটা অশুভ শক্তির প্রভাব প্রচন্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। 

তবে এটাও ঠিক যে এই দিনে কিছু মনস্কামনা পূর্ণ হতো দেখা যায়। অম্বুবাচীর সময় এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করলে ফলাফল খুবই ভালো হয় আবার কিছু কাজ রয়েছে যা একেবারেই করা উচিত নয় এর ফলাফল অশুভ হয়।

15 Closest Hotels to Kamakhya Temple in Kamakhya | Hotels.com

👉🏻 অম্বুবাচীতে যে কাজগুলো করলে ফলাফল শুভ হয়:

১) এই তিথি চলার তিন দিনের মধ্যে যেকোনো পাঁচজন ব্রাহ্মণকে আপনার সাধ্য মতো ফল দান করুন।

২) অম্বুবাচী চলার মধ্যে যেকোন একদিন নিজের গুরুবাড়ি দর্শন করুন।

৩) যারা এই তিথি পালন করেন, তাদের মধ্যে তিনজনকে আপনার সাধ্য মত ফল দান করুন।

৪) আর এই অম্বুবাচী চলাকালীন যদি কামাখ্যায় যাওয়া হয় তাহলে সেখানে কোনো একটি গণেশের মন্দিরে গিয়ে পুজো করুন। তবে সেখানে যাওয়া সম্ভব না হলে আশেপাশে কোন গণেশের মন্দিরে ভক্তিভরে পুজো করলে অত্যন্ত শুভ ফল পাবেন। 

৫) অম্বুবাচী চলাকালে উত্তর-পূর্ব দিকে একটি সাদা ফুলের গাছ লাগান, তবে অবশ্যই গাছটা টবের মধ্যে লাগাতে হবে।

৬) এই তিথি চলাকালীন সম্ভব হলে ইষ্ট মন্ত্র জপ করুন।

৭) অম্বুবাচীতে প্রত্যেকদিন দুধ এবং আম দিয়ে সেবন করা অত্যন্ত শুভ ফলদায়ক।

👉🏻 এবার জেনে নিন কি কি কাজ করবেন না:

১) হিন্দু ধর্মের মতে, এই সময় কোনরকম শুভ কাজ করা উচিত নয়।

২) অম্বুবাচী চলাকালীন ঈশ্বরের কাছে কোন রকম মানসিক করলে ফলাফল ভালো হয় না।

৩) সময় কাউকে ধার দেওয়া কিংবা নেওয়া কোনটাই করা উচিত নয়।

৪) শেষ কোনো প্রয়োজন না হলে এই সময় কোথাও ভ্রমন করা একেবারেই শুভ হয় না।

৫) এই সময় গাছ কাটা একেবারেই উচিত নয়।

৬) অম্বুবাচী চলাকালীন মাটি খুঁড়তে কিংবা ভূমিতে আঘাত করাও নিষেধ।