চীন তাদের সীমানা বৃদ্ধি করার জন্য রীতিমত সারা বিশ্বজুড়ে এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। ভারত ও জাপানের কিছু অংশকে নিজেদের মধ্যে আনার জন্য রীতিমত উঠে পড়ে লেগেছে চীন। এর জেরে চীন তাদের প্রতিবেশী ছোট দেশগুলোকেও তাদের বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য করছে।
আর এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় চীনের সাথে অন্যান্য দেশের তুলনা চলছে। তেমনই ভারত ও চীনের সামরিক শক্তি, যুদ্ধের অভিজ্ঞতা,জনগণের দেশপ্রেম ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস নিয়েও চলছে জোর আলোচনা।
এই আলোচনার সাপেক্ষে বলা যায় যে বর্তমানে যুদ্ধে জয়ী হতে গেলে সামুদ্রিক দিক থেকে সেই দেশকে অত্যন্ত শক্তিশালী হতে হবে। আর ভারত সেই দিক থেকে বেশ শক্তিশালী। চীনকে হারানোর জন্য ভারতের নৌ সেনাদের কাছে আছে অনেক সুযোগ। আর ভারত এই সামুদ্রিক দিক থেকে শক্তিশালী হবার অন্যতম কারণ হলো আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
৭৫ বছর আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিয়েছিল এক অসাধারণ পদক্ষেপ যার মাধ্যমে ভারতীয় নৌবাহিনী সহজেই চীনকে ধরাশায়ী করতে পারবে। এই বিষয়ে জানিয়ে রাখি যে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে ইংরেজদের হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন।
প্রাচীন ভারতের চোল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এই দ্বীপপুঞ্জ। পরে পর্তুগিজরা এই দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নিয়েছিলেন এবং এরপর এই দ্বীপপুঞ্জে নৌসেনার বেস ক্যাম্প তৈরি করেছিলেন ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্য।
পরবর্তী সময়ে ভারতে যখন ইংরেজরা আসে সেই সময় এই দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নিয়েছিল ইংরেজরা। এরপর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনী ১৯৪৩ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ইংরেজদের কাছ থেকে এই দ্বীপপুঞ্জ ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে ভারতের পতাকা ওড়ানো হয়েছিল।
চীন সারাবিশ্ব থেকে ৮০% সামগ্রী যে সামুদ্রিক পথ দিয়ে আমদানি রপ্তানি করে সেই পথে ভারতের অংশ আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। যেকোনো সময় চীনের জলজাহাজ গুলিকে আটকে দিতে পারে। এর ফলশ্রুতি, চীনে হাহাকার লেগে যাবে এমনকি চীনে উৎপন্ন পণ্য ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধে তৎকালীন সরকার যদি এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারতেন তাহলে চীনের উৎপাদন ক্ষমতা আজ এত বৃদ্ধি পেত না।