টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মা বিরাট কোহলির অধীনে উপেক্ষিত খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। তালিকায় সবার প্রথমে যে নামটি আসে তিনি হলেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। গত ৪ বছর ধরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেখা মেলেনি অশ্বিনের। এমনকি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত টেস্ট সিরিজেও উপেক্ষিত হয়েছেন তিনি। এদিকে অধিনায়ক রোহিত শর্মা টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি বড় বার্তা দিয়েছেন।
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বিসিসিআইয়ের তরফে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়, তখন ভারতীয় দলে আশ্বিনকে ফিরতে দেখে অনেকেই অবাক হন এবং এই সিদ্ধান্তকে রোহিত শর্মা সমর্থন জানান। তা সত্ত্বেও গ্রুপ পর্বের পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আশ্বিনকে খেলানো হয়নি। এর ফলস্বরূপ একজন অভিজ্ঞ স্পিনারের অভাব ভারতীয় দল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।
এদিকে বরুণ চক্রবর্তীকে তার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল আর সব ম্যাচেই ফ্লপ হন তিনি। বাকি তিনটি ম্যাচে রবীচন্দ্রন অশ্বিন সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ৬ উইকেট তুলে নেন। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৩ টি উইকেট নিয়েছেন এবং কিউই ব্যাটসম্যানদের রান রেট কমিয়ে এনেছিলেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা আশ্বিনের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ভীষণ খুশি।
নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করার পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ওভারগুলিতে উইকেট নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সবচেয়ে ভালো বিকল্প। তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এই সিরিজেও একই কাজ করেছেন। এমনকি এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের মাঝের ওভারগুলিতে রান আটকে দেন এবং সময়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও নেয়।
রোহিত শর্মা আরো জানান, ‘ও সবসময় যে কোনও অধিনায়কের জন্য খুবই ভালো বিকল্প। যখন আপনার দলে তাঁর মতো বোলার থাকে, তখন এটি আপনাকে মাঝের ওভারে উইকেট তুলে দেয় এবং আমরা জানি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সেরা বোলার। বছরের পর বছর ধরে, তিনি টেস্ট ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এবং এমনকি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার রেকর্ডও খারাপ নয়। দুবাই এবং এখানে দুটো ম্যাচে ও যেভাবে বল করেছে, সেটা ওর যোগ্যতা প্রমাণ করে।’