আইসিসি ২০১৯ বিশ্বকাপে অম্বাতি রায়ডু ভারতীয় দলে নির্বাচিত না হওয়ায় বহু বিতর্ক হয়েছিল। টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপের আগে ৪ নাম্বার ব্যাটসম্যান সমস্যা হয়। ভাবা হচ্ছিল যে রায়ডু বিশ্বকাপের দলে নির্বাচিত হবেন এবং তিনি ৪ নম্বর ব্যাটসম্যানের সমস্যার সমাধান হবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বাছাই কমিটি তখন এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বে, যারা দল ঘোষণা করেছিলেন।
বিজয় শঙ্করকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তারপরে এমএসকে প্রসাদ বলেছিল যে শঙ্কর তিনটি বিভাগের (ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং) কারণে দলে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পরে রায়ডু একটি টুইট করে, যা বেশ ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল, শুধু তাই নয়, এর পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। এই পুরো বিতর্ক নিয়ে এমএসকে প্রসাদ এতদিন পরে এবার ব্যাখ্যা করেছেন যে কেন রায়ডুকে বিশ্বকাপের জন্য দলে নির্বাচিত করা হয়নি।
এমএসকে জানান যে ভারতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অম্বাতি রায়ডু বাদ গেলে তিনিও দুঃখ পেয়েছিলেন। স্পোর্টসটারকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এমএসকে প্রসাদ বলে, ‘রায়ডুর পারফরম্যান্স ২০২৯ সালে ভাল ছিল, কিন্তু সে বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি। আমরা রায়ডুর ফিটনেসের প্রতিও মনোযোগ দিয়েছিলাম। বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে তাঁর বাদ যাওয়া অন্য বিষয় ছিল। তিনি বলেন যে, রায়ডু সম্পর্কে আমার খুব খারাপ লাগছিল। এই সিদ্ধান্ত খুব কঠিন ছিল।
প্রসাদ বলেছেন যে, বাছাই কমিটি বরাবরই অনুভব করেছে যে ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পরে তিনি টেস্ট নির্বাচনের রাডারে আছেন। এমএসকে বলেছিল যে আমি রায়ডুকে বলেছিলাম টেস্ট ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে। আমরা তাকে আইপিএলের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ওয়ানডে দলে জায়গা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেছিলেন যে এর পরে আমরা একমাস ধরে এনসিএতে তার ফিটনেসের দিকে মনোনিবেশ করেছি এবং তাকে সহায়তা করেছি, তবে দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি দল থেকে বেরিয়ে আসেন। তাই অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে অম্বাতি রায়ডুর জায়গায় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
নির্বাচকরা বলেছিলেন যে রায়ডু একজন রিজার্ভ খেলোয়াড়, তাও রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসাবে নির্বাচিত করা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অম্বাতি রায়ডু তার অবসর ঘোষণা করেন। তবে কিছুদিন পর তিনি অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করেন। খুব শীঘ্রই বিসিসিআইয়ে একটি নতুন বাছাই কমিটি নিয়োগ করা হবে।