ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন আচার্য চাণক্য। এছাড়াও তিনি একজন প্রখর রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি মহারাজা চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রী ও প্রধান পরামর্শদাতাও ছিলেন। তিনি তার সমস্ত আদর্শ ও বাণীগুলি সংকলিত করেছেন তাঁর বিখ্যাত দুটি গ্রন্থ অর্থশাস্ত্র ও চাণক্য নীতিতে।
পুরান মতে, মা লক্ষ্মী দেবী কোন এক জায়গায় বেশিক্ষণ স্থায়ী হন না। তবে যে বাড়িতে তিনি অধিষ্ঠান করেন সেই বাড়ির সম্পদ ঐশ্বর্য ও সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে ওঠে। তবে তিনি মানুষের কয়েকটি বাজে অভ্যাসের জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে সেই বাড়ি ত্যাগ করেন, এর ফলে সেই বাড়িতে নেমে আসে শোক এবং দুঃখের ছায়া।
১) হামেশাই অপমান করা:
মা লক্ষ্মী কখনোই অন্যকে অপমান করা একেবারেই পছন্দ করেনা। আর এই ধরনের ব্যক্তির ধারে কাছে আসেনও না তিনি। তাই কোনো অবস্থাতেই বিনা কারণে কাউকে অপমান করা উচিত নয়। এই অভ্যাস ত্যাগ করতে না পারলে আপনার জীবনে সুখ-শান্তি প্রায় চলে যাবে।
২) লোভ করা:
মানুষকে বিপদে পথে ঠেলে দেয় লোভ। এই লোভের বশে মানুষ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় যা তাকে পতনের দিকে নিয়ে যায়। আর লোভী মানুষের প্রতি কখনোই মা লক্ষ্মী সহায় হন না।
৩) রাগ করা:
যারা অল্পতে রেগে যায় তারা বাস্তব জীবনে কখনো সুখী হতে পারে না। আবার যারা রাগ করেনই না, তাদের তুলনায় অনেক বেশি সুখী। চাণক্য এর কথা অনুযায়ী, মা লক্ষ্মী কখনোই রাগী মানুষকে পছন্দ করেন না এবং শীঘ্রই পরিত্যাগ করেন।
সুতরাং, মা লক্ষ্মীর কৃপা পেতে হলে উপরিক্ত তিনটি বদ অভ্যাস শীঘ্রই পরিত্যাগ করতে হবে।