আইপিএলের অন্যতম সেরা শক্তিশালী দল হল চেন্নাই সুপার কিংস। এখনো পর্যন্ত তারা তিন বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের সাফল্যের মূল কারণ হলো ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করা এবং দলের অধিনায়কের সঠিক নেতৃত্ব দেওয়া।
তবে আজকের প্রতিবেদন রয়েছে, চেন্নাই সুপার কিংস টিমের খেলোয়াড়দের ২০২০ সালের বেতন কতো? চলুন জেনে নেওয়া যাক –
১) সুরেশ রায়না: ১১ কোটি টাকা
আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে দূরে থাকলেও সুরেশ রায়না আইপিএল থেকে ১১ কোটি আয় করেছেন। তিনি আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।
২) মহেন্দ্র সিং ধোনি: ১৫ কোটি টাকা
সিএসকে দলের সর্বাধিক বেতনের খেলোয়াড় হলেন তাদের অধিনায়ক এমএস ধোনি এবং তার নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিং তিন বার চ্যাম্পিয়ন হয়।
৩) কেদার যাদব: ৭.৮ কোটি টাকা
এই ভারতীয় অলরাউন্ডার এখনো পর্যন্ত আইপিএলে তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি কিন্তু তিনি ৭.৮ কোটি টাকা আয় করছেন।
৪) রবীন্দ্র জাদেজা: ৭ কোটি টাকা
ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা হলেন সিএসকের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই বাঁহাতি স্পিনার ৭ কোটি টাকা আয় করেন।
৫) পিয়ুষ চাওলা: ৬.৭৫ কোটি টাকা
কেকেআরের প্রাক্তন এই খেলোয়াড়কে ২০২০ আইপিএল নিলামের সময় সিএসকে দল ৬.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয়।
৬) ডোয়েন ব্র্যাভো: ৬.৪ কোটি টাকা
আইপিএল এর প্রাক্তন পার্পল ক্যাপ বিজয়ী হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ডোয়েন ব্র্যাভো। সিএসকে ৬.৪ কোটি টাকা দিয়ে তাকে ধরে রেখেছে।
৭) স্যাম কুরান: ৫.৫ কোটি টাকা
২০২০ সালের আইপিএলে সিএসকে আরও একটি নতুন স্বাক্ষর করে। স্যাম কুরান সিএসকে-র জন্য প্রথম মৌসুমে ৫.৫ কোটি আয় করবেন।
৮) করন শর্মা: ৫ কোটি টাকা
কারণ শর্মাকে আইপিএলের সবচেয়ে লাকি খেলোয়ার ভাবা হয়। তিনি সিএসকে থেকে ৫ কোটি টাকা আয় করছেন।
৯) শেন ওয়াটসন: ৪ কোটি টাকা
অস্ট্রেলিয়ার এই বিখ্যাত অলরাউন্ডার ২০১৮ আইপিএলের ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তার দলকে জিতিয়ে ছিলেন। শেন ওয়াটসন ৪ কোটি টাকা আয় করছেন।
১০) শারদুল ঠাকুর: ২.৬ কোটি টাকা
ভারতীয় ফাস্ট বোলার শারদুল ঠাকুর ধোনির সম্মান অর্জন করেছেন এবং তিনি সিএসকে থেকে ২.৬ কোটি আয় করছেন।
১১) আম্বাতি রাইডু: ২.২ কোটি টাকা
২০১৮ সালের আইপিএলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন আম্বাতি রাইডু এবং সেই বছরই সিএসকে চ্যাম্পিয়ন হয়। তিনি ২.২ কোটি টাকা আয় করছেন।
এছাড়াও বাকিরা কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। রইল সংক্ষিপ্ত তালিকা: হরভজন সিং ২ কোটি, জোশ হজলউড ২ কোটি, ফ্যাফ ডুপ্লেসিস ১.৬ কোটি, ইমরান তাহির ১ কোটি, দীপক চাহার ৮০ লাখ, লুঙ্গি এনগিডি ৫০ লাখ, মিচেল স্যান্টনার ৫০ লাখ, কেএম আসিফ ৪০ লাখ, নারায়ণ জগদীশান ২০ লাখ, মোনু কুমার ২০ লাখ, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ২০ লাখ এবং আর সাই কিশোর ২০ লাখ।