ল্যান্ডার বিক্রমের আয়ু মাত্র ১৪দিন কেনো, জানালেন বিজ্ঞানীরা

চন্দ্রপৃষ্ঠে ঠিক মতো অবতরণ না করার ফলে ল্যান্ডার বিক্রমকে নিয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীরা যতটা আশঙ্কিত রয়েছেন ততটাই পুরো দেশবাসী রয়েছে এবং সকলেই প্রার্থনা করছে খুব দ্রুত যেনো বিক্রম এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মত অনুযায়ী, এই যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব কঠিন হলেও অসম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।

চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে ৭ সেপ্টেম্বর, এরপর চন্দ্রযান-এর দুটি অংশ ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাদের হাতে রয়েছে মাত্র ১৪ টি দিন, অর্থাৎ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে না পারা গেলে আর কখনো তাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে না অর্থাৎ তাদের অকাল মৃত্যু ঘটবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে আর হাতে মাত্র ১৪ টি দিন রয়েছে কেন? সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা এবং বলেছেন চাঁদের উষ্ণতার তারতম্যের প্রভাব রয়েছে অর্থাৎ সেখানে কোন বায়ুমণ্ডল নেই যার ফলে সূর্য কিরণকে চাঁদের পক্ষে রুখে দেওয়ার মতো কোনো শক্তি নেই। অর্থাৎ দিনের তাপমাত্রা সেখানে প্রায় ১০০ ডিগ্রির উপরে এবং রাতের তাপমাত্রা কমে গিয়ে মাইনাস ২০০ সেলসিয়াসে গিয়ে দাঁড়ায়। খবর সূত্রে জানা গিয়েছে দিনের এই উষ্ণতা তারা সহ্য করতে পারলেও রাতের এই কনকনে ঠাণ্ডা তারা কখনোই সহ্য করতে পারবেনা যে কারণেই চাঁদের রাত হলে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান।

আপনাকে জানিয়ে রাখি, চাঁদের একদিন মানে পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান। ঠিক তেমনি চাঁদের একটি রাত পৃথিবী ১৪ দিনের সমান, অর্থাৎ পৃথিবীর এক মাসে চাঁদের একবার দিন রাত্রি হয়। সেই পরিকল্পনামাফিক ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের যেদিন অবতরণ করেছিল সেদিন থেকে চাঁদের দিন শুরু হয়েছিল, এর ১৪দিন পরে চাঁদের রাত শুরু হবে ফলে এখানকার তাপমাত্রা নেমে গিয়ে কনকনে ঠান্ডা -২০০ সেলসিয়াসে পৌঁছাবে, যা ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান এর সহ্য করতে পারবে না, বিনাশ ঘটবে তাদের। এই জন্যই তাদের আয়ু মাত্র ১৪ দিন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা যোগাযোগ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।