প্রত্যেক গৃহস্থবাড়িতে মা লক্ষী পূজিত হয় সংসারের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য। এছাড়া প্রত্যেক বাড়িতেই মা লক্ষ্মীর গুরুত্ব থাকে অপরিসীম। বেশ কিছু নিয়ম মেনে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে আপনার সংসার হবে আরো সুখ ও ঐশ্বর্যময়।
মা লক্ষীর হাত থেকে ধন বর্ষা হচ্ছে এরকম একটি ছবি বাড়িতে রাখতে হবে। অনেক মানুষই আছে যারা রোজকার করলেও তারা টাকা ধরে রাখতে পারেনা। এরকম হলে এমন একটি ছবি আপনার জন্য খুবই কার্যকর।
মা লক্ষ্মীর সামনে সবসময় ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হবে এবং পুজোয় সুগন্ধি ব্যবহার করা উচিত। এই সুগন্ধি মা লক্ষ্মী পূজায় ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। যে সমস্ত বাড়িতে প্রদীপ ফু দিয়ে নেভানো হয় সেইসব বাড়িতে মা লক্ষ্মী বাস করে না।
এছাড়া চুল আঁচড়ানোর পর সেই চুল যদি চিরুণিতেই থেকে যায় তাহলে তা যথেষ্ট অশুভ বলে মনে করা হয়। আবার পা না ধুয়ে বা ভেজা পায়ে রাতে ঘুমালেও তা অলক্ষণ বলে মনে করা হয়। তাই এই ভুলগুলি কখনোই করা উচিত নয়।
এছাড়া রাত্রিবেলা কখনোই এঁটো বাসন পত্র রেখে দেওয়া উচিত নয়। অনেকেরই দেখা যায় যে দাঁত দিয়ে নখ কাটার প্রবণতা আছে। এরকম অভ্যাস থাকলে চটজলদি পাল্টে নেওয়া উচিত। সূর্যাস্তের পরে যে সব বাড়িতে ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দেওয়ার প্রবণতা থাকে সেসব বাড়ি থেকে মা লক্ষ্মী চিরতরে ছেড়ে চলে যান।
পিতৃপক্ষে পিতার নামে তর্পণ করা না হলেও মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হয়। এছাড়া যেসব বাড়িতে শঙ্খ বাজানো হয় না এবং দেব দেবতাদের নিয়ে কটুক্তি করা হয় সেসব বাড়িতেও মা লক্ষী বসবাস করে না।