ফেসবুকে পরিচয়, ঘনিষ্ঠ হতেই লেকটাউনের মহিলার ৫ লক্ষের গয়না নিয়ে পালাল “পুলিশ বন্ধু”

ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল লেকটাউনের গৃহবধুর এক যুবকের সাথে। আর সেই ফাঁদেই পা ফেলে ৫ লক্ষ টাকার গয়না খোয়ালেন তিনি। ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই সকল সুযোগ নিতে শুরু করেন ফেসবুকে পরিচয় হওয়া বন্ধুটি। গত শনিবার ওই গৃহবধূ লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ওই ব্যক্তির এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূ (৩৫) এর সাথে ফেসবুকে পরিচয় এক যুবকের। যে তাকে পুলিশ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। ওই ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল, তার নাম ছিল রুপম মন্ডল। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু হলে। ফোন নম্বর দেওয়া হলে আরো আদান-প্রদান বাড়তে থাকে। ওই মহিলার আবার একটি মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে নিয়মিত ফোনে কথাবার্তা চলত।

Related image

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের অনলাইনে পরিচয়ের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে একসময় তারা মনস্থির করেন সংসার পাতবেন বলে। মহিলা জানিয়েছেন যে, তাকে বাড়ি ছাড়ার সময় সকল গহনা সাথে করে নিয়ে আসার কথা বলেছিলেন। ওই যুবকের কথামতো ওই মহিলা দিন কয়েক আগে বাড়ি ছাড়েন যখন তার স্বামী তার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ জলে ডুবে প্রাণ গেল যুবকের, সাহায্যের বদলে বন্ধুরা ভিডিও করতে ব্যস্ত

মহিলা আরও জানিয়েছেন যে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা শ্রীভূমি বাসস্ট্যান্ডে দেখা করবেন। ওই যুবক কালো রংয়ের একটি বাইক নিয়ে এসে তাকে নিয়ে সারা কলকাতা ঘোরাফেরা করেন। এরপর সন্ধ্যার দিকে বাইপাস ধরে আনন্দপুর এলাকার দিকে তাকে নিয়ে যায়। এরপর যুবকের মোবাইলে একটি ফোন আসে। মোবাইলে কথাবার্তা বলার পরেই, ওই যুবক জানায় মহিলার স্বামী এবং পরিবার গোটা বিষয়টি জানতে পেরে তার বাড়িতে গিয়ে প্রচণ্ড অশান্তি শুরু হয়েছে। তাই সে গন্ডগোল মিটিয়ে এসে আবার তাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে। আর যাওয়ার সময় তার সমস্ত গয়নাগাটি নিয়ে যায় কারণ তাকে বলে একসাথে এত গয়না কাছে রাখা উচিত হবে না বলে।

Related image

এরপর ওই মহিলা সেখানে রাত দশটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকে। যুবক না ফেরায় তখন সে বুঝতে পারে যে প্রতারিত হয়েছে। এমনকি তার মোবাইলও ওই যুবককে নিয়ে গিয়েছিল তাই কাউকে ফোন করেও জানাতে পারেনি। সেখানকার স্থানীয় পুলিশ সাহায্যে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রুপম মন্ডল নামে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ছিল ওই যুবক। সেখান থেকেই এই মহিলার সাথে যোগাযোগ। তাতে একটি নাম্বার রয়েছে কিন্তু সেটিও বন্ধ। তদন্তকারীরা ওই যুবকের এখনো পর্যন্ত কোনো হদিস খুঁজে পায় নি।