ধোনির জন্যই বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি পাইনি, বিস্ফোরক মন্তব্য গম্ভীরের

কেটে গেছে ৮টি বছর, ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২৮ বছর পর ভারত আবার বিশ্বকাপ জেতে। কিন্তু ওই রাতের স্মৃতি এখনো তরতাজা হয়ে আছে গৌতম গম্ভীরের মনে। যদিও সেই দিন বিশ্বকাপের জয় তার মনে অনাবিল খুশি এনে দিয়েছিল কিন্তু তার এখনও আক্ষেপ রয়ে গেছে সেঞ্চুরি করতে না পারায়। আর সম্পূর্ণ দায়ী করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ধোনির জন্যই নাকি তার সেঞ্চুরি মিস হয়ে যায় মাত্র ৩ রানের জন্য। ৯৭ রানে (১২২ বলে) বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে দিকে মুখ নিচু করে “গম্ভীরভাবে” ফিরছিলেন তিনি।

Image result for Gautam Gambhir angry

গৌতম গম্ভীর সেদিন হয়তো না থাকলে ভারতের বিশ্বকাপ জেতা টা অসম্ভব হয়ে পড়তো। কারণ শুরুতেই (২৮-২) আউট হয়ে গিয়েছিল দুই ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ এবং সচিন তেন্দুলকার। বিরাট কোহলিকে নিয়ে তিনি ৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর ব্যাট করতে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শেষ পর্যন্ত ছক্কা মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেছিলেন মাহি। আর সারা মুম্বাই থেকে গোটা ভারত বর্ষ আনন্দের উৎসবে মেতেছিল। কিন্তু গৌতম গম্ভীর এর সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ আজও রয়ে গেছে। আর তিনি দায়ী করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে।

গৌতম গম্ভীর জানিয়েছেন, “আমাকে অনেকে জিজ্ঞেস করে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে না পারার আসল কারণ কি ছিল। তাহলে আমি অবশ্যই বলব শুধুমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্যই আমার সেঞ্চুরিটি মিস হয়ে যায়।” এর আগে গৌতম গম্ভীর তার ক্যারিয়ারের জন্য অসন্তুষ্ট হয়ে বারবার মহেন্দ্র সিং ধোনিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। আবার তার মুখ থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য শুনতে দেখা গেল।

Related image

সেঞ্চুরিটি কিভাবে মিস হয়ে গেল সেই ব্যাপারে গৌতম গম্ভীর খোলাখুলি জানিয়েছেন, “আমি যখন ৯৭ রানে ব্যাট করছিলাম, তখন আমার মনে সর্বদা ছিল টার্গেট কত কম করা যায়। যত সম্ভব ম্যাচটা শেষ করা যায়। ধোনি সেই সময় উল্টোদিকে ব্যাট করছিল। আমার মনে আছে একটা ওভার শেষে ধোনি আমায় এসে বলল, আর তিন রান করতে পারলে তুমি সেঞ্চুরি পাবে। তিন রানটা করে ফেলো। আর সেই যে ধোনি এসে মনে করিয়ে দিল তখন আমার মনে নিজের মাইলস্টোনের কথাই ঘুরতে থাকে। তাতেই আউট হয়ে গেলাম।”

Image result for Gautam Gambhir angry

এরপরেও থামেননি গৌতম গম্ভীর, তিনি জানিয়েছেন যে “আমি যদি নিজের মাইলস্টোনের কথা চিন্তা করতাম তাহলে অনেক আগে সেঞ্চুরি করে ফেলতে পারতাম। ড্রেসিংরুমের দিকে যখন ফিরছিলাম শুধু ভাবছিলাম এই তিনটে রান না করতে পারার আক্ষেপ সারা জীবন আমার সঙ্গে থাকবে। ঠিক তা-ই হয়েছে।”